মনে রেখো,
মেঘলা রাতে তারারা যদি,
মুখ ঢাকে মেঘের আড়ালে
তবে ঢাকুক ।

অবশেষে, একা চাঁদ যদি,---
হাজার বাষ্পীয় বাধা পেছনে ফেলে,
বলয় তুলে ধরে, যদি আলো ছড়ায়,
তবে নিশ্চিত,
কেউ তার প্রয়োজন বোধ করছে ।
হয়তো কেউ বুক বেঁধেছে আশায় ।
নিশ্চয়ই কেউ মনেপ্রাণে কামনা করেছে,
চাঁদ হবে তার ঢাল ।

মুহুর্মুহু সন্ধ্যার আহাট যখন শেষ বিকেলে ।
ধুলিঝড়ের ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে খেতে,
সহস্র মেঘ যখন মুড়ে ফেলেছে পৃথিবীকে ।
তখনও নিঃশ্বাসের শব্দ শুনছে কেউ না কেউ ।

চরম সংকট এইভেবে,
কেউ  ভীতসন্ত্রস্ত এবং অঝোর নয়নে,
প্রতিবাদের জাবর কেটে চলেছে ।
কোন এক ঈশ্বরের খোঁজে ।
আকস্মিক কিছু ঘটে যাওয়ার আশায় ।

তারাহীনতার আকাশ  হবেই অসহনীয় ।
তাই চরম উদ্বিগ্নতা ।
অশান্ত মন প্রাণ ।

এমন সময় কেউ যেন  বলে উঠলো ।
মাভৈ, মাভৈ, ----------
অবশেষে সব ঠিকঠাক,
কিছুতে তোমরা ভীতসন্ত্রস্ত নও,
আছি সাথে একলা চাঁদ ।

মনে রেখো,
যদি একা চাঁদ আলো ছড়ায় ।
তবে নিশ্চিত,
কেউ তার প্রয়োজন বোধ করেছিল ।
তার উপস্থিতি অপরিহার্য ।

এভাবেই প্রতিটি সন্ধায়,
যদি প্রতিবাদী চাঁদ বিদ্রহ করে মেঘের বিরুদ্ধে ।
তবে নিশ্চিত জেনো ।
সে সন্ধ্যা ও দূরে নেই ।
যখন অনন্ত আকাশ জুড়ে,
তারাদের ও সমাবেশ
চাঁদ আর একা নয়,
আর সেই 'কেউ' এর প্রয়োজন বোধ ও বৃথা নয় ।
  

কৃত্তিবাস
শিলং, 29 আগস্ট 2019