এক বিরল যন্ত্রনা ।
কিছু কৃতজ্ঞতা,
যা চেপে আছে ঘাড়ের ওপর ।
চাপিয়ে দিয়েছে সুকুশল সম্বোধনে ।

সুরক্ষার যে আইন, কানুন
লিখেছিলে পাতা ভরে ।
আমি তার শব্দ চুরি করে করে,
জড়ো করেছি  ।
জন্ম নিয়েছে এক কবিতা ।
বিরোধের মন খোলা কবিতা ।

যে শব্দগুলো দিয়ে রোজ খেলা হয় ।
রোজ রোজ কোকিলেরা ডিম পাড়ে ।
বোকা কাক,
কোকিলের ডিম আগলে থাকে,
আগামীর আশে ।

রাজায় রাজায় বেজায় যুদ্ধ ।
ক্ষুধার পেটে,
মন্দির, মসজিদ, গীর্জা,
গুরু, মৌলবী, পাদ্রী,.....
কী আসে যায় ?

কবরের লাশ গুনে গুনে,
কম-বেশী, বেশী-কম ।
লেখা জোকা কাগজে কাগজে উন্নয়ন ।
রোজ রোজ যারা জেতে এই লেখা লিখে ।
সে কী জানে ক্ষিদের শাসন ?

তবুও মিছিল হয়  মিটিং হয় ।
ক্ষুধার্ত মানুষের জমায়েত ।
সংবিধানের পাতায় পাতায়,
রুটি খুঁজে ফিরে এক ঝাঁক,
হ্যাঁ এক ঝাঁক, পরিচয়ে শুধু ঐ ঝাঁক ।

পশুর সমান ও নয় ।
আছে পশুশালা।
আর ওর আছে এক ছাদ,
নিচে যার,
ঠাঁই সেই এক ঝাঁক ।

মহামারী চুষে খায় জীবনের শেষ টুকু রস ।
গোপন কবরে ঠাঁই,
কত চাওয়া কত না পাওয়া ।
হিসেব মেলে না, মেলে না ।
অগ্রন্থিত আকতার বই ।

বুকের পাঁজরে পা রেখে,
যে মানুষেরা জিতে যায়,
যে ঘরে, যে ঘোরে বাস করে,
যে পথে ঘুরে বেড়ায় ।
যদি আর পাঁজরেরা নাই থাকে,
ঠাঁই হীন হবে রাজার পাদুকা যুগল ।
সেদিন, ও ঘর, পথ কার হবে ?

কৃত্তিবাস
শিলং, ২৫ এপ্রিল ২০২০