জীবনের বিশ বসন্তের কৃষ্ণচূড়া হাতে তোমার দরজায় টোকা দিয়েছিলাম ।
যা কিছু অ্ফুরন্ত, শিমুল, পলাশ,-----
সবটাই তখনও কেউ ছুঁতে পারেনি ।

মনের সব ইচ্ছের হদিশ
তখনও অজানা ।
ভেবেছিলাম উজাড় করে দেবো ।
দুহাত ভরে চাইব বসন্তের সবটুকু সুগন্ধ ।

তুমিও যে ফুল বেছে নিলে,
খুব সুন্দর, গন্ধে গন্ধে সুগন্ধী ।
প্রতিটি দলে দলে খোদাই করা
একটি নাম,------ যা ছিল সবার অজানা ।
এমন কি আমারও ।

হলুদ বিকেল ঘিরে কৃষ্ণচূড়ার আগুন ।
পুড়িয়েছে আমায়, হয়তো তোমাকেও ।
মাঝে কেটে গেছে অনেক তিনশ পয়ষট্টি ।
কিছু ব্যার্থ চাওয়া, ব্যর্থময় ।
দুহাত ভরে যা কিছু দিলে,
তা সে হোক গে অবিচারের উষ্ণ আঘাত ।

বিশ্বাসের পাখিটাকে উড়িয়ে দিয়েছি ।
হয়তো আমার এ মতি,
তোমার কাছে মতিচ্ছন্ন মনে হতে পারে ।
জীবন মানেই যে, সহজ, নিশ্চিন্ত
ঢালু পথে পথ চলা নয় ।

অনাহুতের ভোজন বিলাস, দুঃস্বপ্ন ।
হাওয়াকে চাক্ষুষ করার অভিমান ।
জানি প্রাণে প্রান বাঁধা যেখানে শর্তসাপক্ষ ।
সেখানে এ সবকিছুতেই স্তাবকতা  ।
বড্ড অভিমানী, অহঙ্কারী ।
তাই কবিতা না বুঝেও এই জ্যান্ত
আমাকে খুব খুব চিনে গেছো ।

বড়ই ফ্যাশন ভরা আজ তুমি আমি ।
হাওয়ায় ছুরি মেরে রক্তের দাগ খুঁজে পাই ।
অথচ রক্ত মাংসের শরীরের কষ্টগুলো ?
উপলক্ষ যে আজ লক্ষকে ছাড়িয়েছে ।

শুধু থেকে যাওয়া কিছু বেহায়া আশা ।
আজ ও গান শোনায়, কবিতার কথা বলে ।
নিরাশার মাঝে আশার আলো জ্বালে ।
সমস্ত অতীত প্রশ্নের সমাপন হবে ।
সমস্ত ভুল-ঠিক, বিশ্বাস-অবিশ্বাস পেরিয়ে
অযৌক্তিক যে একটা পৃথিবী আছে,
সেখানে আবার দেখা হবে,
ঢের সারা কথা হবে ।

কৃত্তিবাস

শিলং, ৩১ শে মে ২০২০