নদীর এপারে দাড়িয়ে একা আমি
ওপারে তোরে হেরিয়া হিয়ার বাড়িল গোৎড়ামি।
একবার চাহিলাম তব পানে,
আবার চাহি অন্তঃরিক্ষের দিকে,
ভাবিতে লাগিলাম গগনের এই
বিশালতা দিল কে?
গর্জে উঠে নদীর উর্মি
নিদ্দেশ বারবার,
আজি অন্তঃরিক্ষের বিশালতা মাপা
নাই তোর অধিকার।
আজ নিরবধি
হৃদয়ের নদী
বহিছে উথাল ঢেউ
কিনারে জমা তুচ্ছ ফেনা করিল না ক্ষমা সেও।
জানি আমি অতি তুচ্ছ মানব
তবু আছে মোর মণ,
এই মনেতে তোকে ভাবি আমি নিশিদিন সারাক্ষণ।
আজ হেরিয়া তোর প্রতিচ্ছবি কাঁদে প্রতিক্ষনে হিয়া,
কেমনে মোরে ছাড়িয়া আছো ওগো মোর প্রাণ প্রিয়া,
তব পথও চাহি রহিনু আমি
একশো আলোক বর্ষ,
তব কাদনে কাদিঁরে আমি,
তব বিরহে বিমর্ষ,
আজি দেখিয়াছি তোরি ছায়া এই
মায়াবি পদ্মা ধারে,
সারাটি রজনী কাটিবে মোর
এই স্বত্বিটুকু ধরে।
আমি রহি তোর পথও চাহিয়া
তুমি কেন পর ভাবিতেছো প্রিয়া,
যত দুঃখ দাও প্রিয়া এই টুকু আশা রাখি,
পর জনমে আমারে তুমি পারিবে না দিতে ফাকিঁ।