কবিতার জন্ম
=====================কৃষ্ণা দাস
সে আমার চোখে চোখ রেখে বললে,
-তুমি আমার জন্য কী করতে পার?
আমি বললাম ,
-তুমি  বল?
সে অস্থির  হয়ে বললে,
-তুমি আমার জন্য কবিতা লিখতে পার?
আমি হাসলাম,
-এ আর এমন কথা কী, তুমি আমার মাটিতে শিকড় ছড়িয়ে দাও।
সে উদভ্রান্তের মতো বললে,
-কেমন করে দেব, আগে তুমি বৃষ্টি তো দাও!
আমি হেসে বললাম,
-বৃষ্টি পাবে, আগে আমার আকাশে মেঘ ঢেলে দাও ।
সে অসহায় চোখে তাকাল,
-কেমন করে দেব? আমি তো কবি নই।
আমি দু একটা সুগন্ধ ছুড়ে মারলাম তার দিকে,
সে খিলখিল করে হেসে উঠলো ।
আমি কিছু মিষ্টতা গুজে দিলাম ঠোঁটে,
সে থর-থর করে কেঁপে উঠে ভরাট মেঘ হয়ে গেল ।
আর সেই মেঘের স্পর্শে আমি মুখরিত বৃষ্টিতে ঝড়ে পড়তে লাগলাম ।
দেখি আমার মাটিতে তার শিকড় গুলো গভীর হতে গভীরে শাখা বিস্তার করে চলেছে ।
কবিতা লিখলাম, সমস্ত বেলা জুড়ে ভেসে যাওয়ার কবিতা,
আর সে প্রতিটা অক্ষরে এক এক করে তার নাম লিখে নিতে লাগল ।
বৃষ্টি তখনো হয়েই চলেছে, হয়েই চলেছে ,হয়েই চলেছে ,থামার নাম নেই ।
==================================