অকারণে
==============================কৃষ্ণা দাস
আমি তোমার বিঘে জমির মাঠে আর
দেবনা বেড়া,
আগলাবোনা ফসল,
আল কেটে আনবনা জল ,
কাকতাড়ুয়ার হাঁড়িতে আঁকবনা চোখ,
পড়শীর ঈর্ষার তাপে পুড়িয়ে শোক ,
পুতবনা নিশান ।
কারণ
অকারণ দখলদারী আর ভালোনয় ।
এবার থেকে তুমি নিজেই দিও সার,
তবু একবার এস আমার আলহীন ক্ষেতে
পুরোনো কাসুন্দির স্বাদ মাখা হাতে
ভেজা সরসে ফুলের গায়ে এঁকে দিও গান ।
যদিও শীত মাঠ তাপহীন ঊষর,
প্রগাঢ় কুয়াশায় ঢাকা পৌষালী ধান ।
উড়ন্ত প্রহর এখন একা শুয়ে ঘুমায়,
মেঘেদের নেই তাড়া ‘দশটা পাঁচটা’,
অনায়াস বিক্রী কথাভাঙ্গা শপথ,
নোনা জলে সর্বনাশ আবাদী কথন ।
ফিরে গেছে আকাশের বিলম্বিত সুর,
ফিরে গেছে বৃষ্টির নৃত্যের তাল,
এখন দিগন্তজুড়ে হাহাকার রব,
স্বাদহীন শষ্যের মড়ক যাপন ।
তোমায় বলছি বটে পারতো এস,
পারতো গেয় সেই আবেশের গান,
তবুও
আমি তোমার বিঘে জমির মাঠে
আর দেবনা বেড়া, পেওনা ভয়।
কারণ
অকারণ দখলদারী আর ভালো নয় ।
=========================