নিস্তরঙ্গ হৃদয়-নদে, চৈতন্যের জলতরঙ্গ
উজান বায়ে ওড়ে যে তাই, বাঁধন হারা মন-বিহঙ্গ।
বেলা শেষে তীরে বসে, আলোর মাঝে দেখে ছায়া
স্মৃতিই ভরা তরীখানায়, দৃষ্টি দেখে ক্ষুদ্র কায়া।
সূর্য গেলে অস্ত পাটে, ধরায় আলো নেভার ভয়
এমন ক্ষণে প্রভুর আলোয়, জগৎটা হোক আলোকময়।
ধর্ম নিয়ে করছে যত, বক-ধার্মিক মিথ্যাচার
মদিনার সেই ঐশী আলোয়, তারা আসুক পথে আবার।
নইলে তারা ধ্বংস হোক, হোক পৃথিবী শান্তিময়
আল-আমিনের ধর্ম নিয়ে, আর ধরাতে ভ্রান্তি নয়।
অবিশ্বাসীর হৃদয়গুলো, চেতনাতে হোক উন্মুখ
যেমন করে রুদ্র ওমর, হয়েছিল আল ফারুক।
অবিচারের নৈরাজ্যে, এনেছিল সুশাসন
দুঃখী মায়ের উপোসে যার, কেঁদেছিলো শাসক-মন।
প্রজা-মঙ্গল করা যে জন, ভেবেছিলো তাঁর দায়িত্ব
হয়তো সে দায় হয়নি পালন, তাই কেঁদেছে সে নিত্য।
নবী নয় তো কবি সে এক, কাজী নজরুল ইসলাম
জীবন ভরে করলো যে জন, সত্য-ন্যায়ের সংগ্রাম।
শাসক, শোষক, অত্যাচারীর, তাই ছিল সে চক্ষু শূল
বিদ্রোহের আগুন দিয়েও, ফুটিয়ে গেলো প্রেমের ফুল।
ইচ্ছা জাগে আবার কবি, আসুক ফিরে পোড়ার দেশে
বক-ধার্মিক, শোষক যত, পোড়াক আবার অট্ট হেসে।
নয়তো আমার মন চেতনায়, এসে জাগো ভুবনেশ্বরী
প্রেম, সত্য, ধর্ম-কথায়, কাব্য খাতা দাও গো ভরি।
জীবনটা হোক উদ্ভাসিত, ঐশী আলোর সেই রশ্মিতে
দ্রোহের কাব্যে ছড়িয়ে পড়ুক, আশার বাণী সব শোষিতে।