এমন যদি হয়
হঠাৎ তোমায় না পাই খুঁজে আমার ভুবনময় -
সবুজ ভুবন ধূসর হবে দারুন খরায় পুড়ে
রঙিন ডানার প্রজাপতি কোথায় যাবে উড়ে।
ঘরের নিথর বাসিন্দারা করবে অভিমান
হেথায় হোথায় নিদ্রা যাবে ভুলে নিজ-স্থান।
বলবে না কেউ, হায় রে কপাল, এতো অগোছালো
বুঝবে কবে মন্দ কিসে, আর কিসে হয় ভালো।
মিঁয়াও মিঁয়াও কাঁদবে তখন তোমার বিড়াল মিনি
আমায় দেখে বলবে, কে গো? তোমায় আমি চিনি?
কাকটা এসে কাকা রবে উঠবে যখন ডেকে
আমার হাতের খাবার পেলেও ভাববে, এলো এ কে?
তোমার হাতের গাছগুলিতে যতই ঢালি জল
হবে কি আর আগের মতো সতেজ ফুল ও ফল?
তোমার হাতের ছোঁয়ার তরে কাঁদবে দেয়াল-ছবি
আমায় দেখে বলবে হেসে - উদাস, বিভোল কবি।
যখন বসে কাব্য খোঁজে রইবো কথা হারা
কণ্ঠ তোমার বলবে না আর দিন যে হলো সারা।
বলবে না কেউ, ও শার্টে নয়, বোতাম গেছে ছিড়ে
বোতামখানা লাগিয়ে দেব বাসায় এসে ফিরে।
রাঁধবে না কেউ আমার প্রিয় বাসমতির চালে
বেগুন ভাতে পালং শাক আর মাছের সাথে ডালে।
দিনের পরে ফিরতে তখন হয় যদিও দেরি
শুকনো মুখে হাসবে না কেউ হঠাৎ আমায় হেরি।
হাতের কাছে যখন যা চাই পাইবো না চোখ বুজে
সব কিছুতেই ফিরবো শুধু তোমার ছোঁয়া খুঁজে।
মধ্যরাতের দুঃস্বপ্নে ভাঙবে যখন ঘুম
সবকিছুই ঠিক আছে বলে কেউ দেবে না চুম।
হাতের ছোঁয়ায় মাপবে না কেউ জ্বরের কত তাপ
বলবে না কেউ দেখতে মেপে রক্তে কত চাপ।
একলা বসে সোফার পরে দেখবো টেলিভিশন
রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি আর হবে না তখন।
সারাটা দিন রইবো বসে, শুধুই নীরবতা
বুঝবো সে'দিন কেমন নিঠুর অবাধ স্বাধীনতা।
দেহের খোলস যেমন আছে হয়তো এমন র’বে
মাঝখানে তার হৃদয় পুড়ে তরল লাভা হবে।
তোমায় ছাড়া হাজার দুখেও রইবে যে এক সুখ
আমায় বিনে দুঃখগুলো খায়নি তোমার বুক।