বিচার দিবসে কহিবেন খোদা ডাকিয়া প্রথম দাসে
বেহেস্তের দ্বার খোলা আছে, যাও অনন্ত সুখ-বাসে।
দ্বিতীয় দাসে কহিবেন ডাকি, দোজখের দ্বার খোলা
তোমার তরে রহিয়াছে যাও অনন্ত দুখ তোলা।
বিস্ময়ে চাহি দ্বিতীয় সে দাস কহিবে, হে রাব্বুল!
বিচারে তোমার হইতেছে আজি এ যেন কেমন ভুল!
সারাটি জীবন চলিয়াছি আমি তোমার নিয়ম মানি
এ কি ভুল নয় আজিকে আমায় দিতেছ দোজখখানি?
যাহারে তুমি দিতেছ বেহেস্ত, দেখিতাম সারাবেলা
তোমার দ্বীনের কাজে প্রতিদিন করিত যে অবহেলা!
কহিবেন খোদা, তাই তো তুমি কথাতে নিত্যদিন
দোজখী হইবে বলিয়া তাহারে করিয়াছ অতি হীন।
যা কিছু পুন্য হয়েছে শূন্য তোমার সে অহংকারে
পাপী ওই দাস অনুশোচনায় কাঁদিত আমার দ্বারে
আমি দয়াবান করিয়াছি তার সকল পাপের ক্ষমা
নিজে যার ভয় করো নাই কভু সে দোজখ তোমার জমা।