অনন্ত প্রেম
৮ অগাস্ট, ২০১৪
একদা গভীর আঁধার নিশীথে ধরনী কাদিয়া কয়
হে আকাশ তুমি মোর বুকে এসো, পরানে লাগিছে ভয়।
আকাশ কহিল তুমি পড়ে আছ গহীন অতল নিচে
ধুলি কাদা মাখা পঙ্কিল মাঝে কী ভালবাসায় মিছে?
আমি হেথা আছি অতি সুউচ্চে অসীম নীলিমা বুকে
চন্দ্র, সূর্য্য, তারকা নিলয়ে বেদনা বিহীন সুখে।
তুমি হেথা এসো, ঘর বাঁধি দোঁহে নিচুতে যা আছে ফেলে
মৃত্যু, জ্বরা, বেদনা বিহীন সুখ পাবে হেথা এলে।
ধরণী কহিল, হেথা আছে দুখ, মৃত্যু, বেদনা, জ্বরা
তারই মাঝে আছে, হাসি গান আর সবুজে এ প্রাণ ভরা।
কেমনে ছাড়ি এ প্রাণের পরশ, রং বদলের খেলা
কাটাই তোমার নিস্প্রাণ বুকে জীবনের সারা বেলা?
সেদিন হতে রহিল আকাশ গগনে আর ধরণী ধরায়
বিরহ বিদগ্ধ ধরণী পুড়ে তপ্ত প্রেমের খরায়।
মাঝে মাঝে তার দীর্ঘ-নিশ্বাস প্রলয় খেলায় মাতে
হাজার সিন্ধু গর্জে কাঁদে, কুল ভাঙ্গে তার সাথে।
বিরহ অনলে দগ্ধ বক্ষ, তপ্ত তনুতে জ্বর
বিদীর্ণ বুকে লোহিত ফোয়ারা, দেহ কাঁপে থর থর।
কে জানে হঠাত চির নিস্প্রাণ আকাশের এক কোণে
কোন সে ব্যথার অশ্রুতে ভেজা মেঘ জমে সেই ক্ষণে।
চির নিশ্চুপ চিত্কারী উঠে, শত ডম্বরু বাজে
চির গম্ভীর বিজলিতে হাসি মিলনের সাজ সাজে।
ধরনীর বুক ক্ষণিকে বিধ্বস্ত নিষ্ঠুর মন্থনে
রিক্ত ধরণী সিক্ত সবুজ মিলনের বরিষণে।
ভরা যৌবনা গর্ভবতী পূর্ণ প্লাবনে ভাসে
হাজার যোজন দুরে দুই বুক, শধু চেয়ে দোঁহে হাসে।
কে জানে গভীর আঁধারে যখন হাজার আঁখিতে ঘুম
দূর দিগন্তে ধরণী-আকাশ ঠোঁটে ঠোঁটে খায় চুম।