বরযাত্রী চলে সম্মুখে বর ফেলে রেখে পিছনে
মৃত-দেহ যায় সবার আগে তার অন্তিম শয়নে।
মৃত দেখে না, তবু তার তরে জ্বলে শত মোমবাতি
জন্মদিনে নিভাই যদিও, চাইনা তবুও ঘোর-রাতি।
ক্রেতা সদা যায় হেঁটে নিজ পায় সুদূরে মদের দোকানে
দুধ ও মধু বিক্রেতা যায়, ক্রেতা ঘরে রয় যেখানে।
গোয়ালা মেশায় দুগ্ধেতে জল, সব মনে রয় সন্দেহ
নিজ হাতে মদে মেশায় যে জল, প্রশ্ন করেনা তারে কেহ।
কারেও যদি জানোয়ার বলো, ক্রোধানলে সে ওঠে জ্বলে
তারেই তুমি খুব খুশী করো, সিংহ অথবা বাঘ বলে।
জগৎ জুড়ে সদা দুর্দিন, সুদিন শুনি সে সম্মুখে
বাড়ে ভেদাভেদ যত শুনি রোজ সাম্যের গান সব মুখে।
গীতা, বাইবেল, কোরান পড়ি একই পাঠাগারে নীরবে
বাইরে এসেই ধর্ম-যুদ্ধে অশান্তি আনি এই ভবে।
ধর্মশালায় ধন-ভিখারির কোথাও-ই অভাব নাই রে
পেটের ভিখারি ভিক্ষা করে, থেকে সে ঘরের বাইরে।
যত দিন যায় এ জগৎ হয় দিনে দিনে অতি বৃদ্ধ
সত্য মরে বয়সের ভারে, অসত্য হয় ঋদ্ধ।
স্রষ্টা সবারে সৃষ্টি করে সমতায় পালে প্রতিদিন
তারে বাঁধি শুধু নিজে-ধর্মে, অন্যেকে বলি ধর্মহীন।
রচনাঃ ২৯ অক্টবর, ২০১৬