সকাল দুপুর কাটলো যখন উদাস মনের অবহেলায়
হঠাৎ কেন ভৈরবী সুর মলিন আলোর এই অবেলায়?
ডাকবে ভেবে রইনু যেদিন, সেদিন তুমি ডাকলে না
থাকবে ভেবে গেলাম যেদিন, সেদিন তুমি থাকলে না।
ফুলগুলো সব ফুটলো যেদিন, সেদিন তাদের চাইলে না
ফাগুন কোকিল গাইলো যেদিন, সেদিন তুমি গাইলে না।
যে পথ পানে রইনু চেয়ে সে পথ দিয়ে হাঁটলে না
যে গোলাপটি দিলাম হাতে সেটি খোঁপায় আঁটলে না।
সবাই যখন হাসলো চেয়ে তুমিই শুধু হাসলে না
যে জন ভালোবাসলো সেদিন তারে ভালোবাসলে না।
আমার এ গান গাইলো সবাই তুমিই শুধু গাইলে না
বুকের ব্যাথার কাব্যে আমার, প্রাণের সুধা পাইলে না।
তাই তো যে হাত বাড়িয়েছিনু সে হাত তুমি ধরোনি
ঘরটা যেদিন শূন্য ছিল হওনি সেথায় ঘরণী।
এ বিকেলটা যাক না তেমন যেমন গেলো সকাল দুপুর
নাই বাজিলো অন্ধকারে তোমার পায়ে রাগের নুপুর!
এইখানেতে আসবে সেদিন, যেদিন আমি থাকবো না
এই জানালায় চাইবে সেদিন, যেদিন খোলা রাখবো না।
তোমার তরে রঙিন স্বপন যা লিখেছি কাব্যে
বিষাদ মলিন হৃদয় নিয়ে না হয় সেদিন ভাববে।
আমায় না হয় চেয়ো সেদিন যেদিন আমি থাকবো না
ছবিগুলো দেখবে সেদিন যেদিন ছবি আঁকবো না।
হাসির সাথে হাসলে না, সেদিন না হয় কাঁদবে
যেদিন যা'ব বাঁধন ছিড়ে সেদিন হিয়াই বাঁধবে।
যে আঁখিতে এখন হাসি সেই আঁখিতে আসবে জল
আজ তবু থাক ঘরে তোমার স্বজন প্রেমের পরিমল।
রচনা: ১২ অক্টোবর, ২০১৬