যেখানেই নেতা যায়, সাথে যায় চামচা
নেতা যদি চায় তবে খুলে দেয় গামছা
নেতা যদি ফেন ফেলে, খেয়ে বলে ইয়াম চা
স্যার, কি মধুর এ ইয়াম চা!
নেতা বলে, বল তুই চাস কি
এতো চা, সব তার খাস কি?
দে না বেটা ক’কাপ এদিক ওদিক
ভোট কাছে মাঠখানা কিছু কর ঠিক
খাওয়া ভালো, তবে তার সাথে কিছু নাম চা
অন্ততঃ কিছু ভালো নাম চা।
চামচা বলে, হুজুরে এ কন কি
আমার যা, তার মালিক নন কি?
চা তো তেতো, হুজুর যে তাতে চিনি
যা কিছু সব হুজুরের, আমি শুধু নামে কিনি।
ভোট নিয়ে হুজুরের এতো কেন ভাবনা?
হুজুরে না দিলে ভোট সে তো যাবে পাবনা।
বাস, মিল, দালান আর জমিটা
এমন কি বেশি আর? আজ খুব কমই তা।
লোকে যে যা বলে বলুক
কেনা বেচা তবু চলুক
ভাবি শুধু হুজুরের শেষটা
তাই তো বেনামে কিনি হুজুরের দেশটা।
হুজুরের কোটি আয়ু অধমের বাঞ্চা।
নেতা বলে ব্যাস ব্যাস, সবকিছু বুঝনু
তোর মাঝে আগামীর নেতা এক খুঁজনু
ছেলে মেয়ে বিদেশে, ভরা সব থলি
চারিদিকে শত্রু, তোর সাথে চলি
লিখে দেবো তোর নামে তুই যা যা চাস
এদেশের সব মাটি, আকাশ, বাতাস
যত পাস্ শত্রু শুধু তুই খামছা।
রাস্তার পাশে এক আধোঘুমে ভিক্ষুক
হঠাৎ জেগে উঠে কাশে শুধু খুক, খুক
বলে, নেতা-চামচা দুজনেতে মিলে বেশ
কিনে, বেচে দেশটার করে দিলে সব শেষ।
সাবধান, নিলে মোর লাঠি আর ঝুলিটা
জেনে রেখো, থাকবে না মাথার ওই খুলিটা।
বলে শেষে অতি কষ্টে শ্বাস টেনে টেনে
আমার শ্মশান-কবর গেছে, নিলাম তা মেনে,
শ্মশান বা কবর যাই তুমি চাও
ভিক্ষা চেয়ে মাটিটুকু আজ রেখে দাও
নইলে কাল বাতাসের দুর্গন্ধে করে বড় ভয়
এদেশের মানুষ যদি না হয় সদয়।
এখনো সময় আছে, কিছু ভালো নাম চা।