ওগো নারী! আজি জাগিয়া ভাবো কারে ভাবো তুমি পর
কতটুকু ক্ষতি করে রোজ নারী, কতটা করেছে নর?
যতটা তোমায় কালো মেয়ে বলে ঘৃন্না করেছে বর
তার চেয়ে কি শ্বাশুড়ী, ননদী তোমায় করেনি পর?
স্বামী ও শ্বশুর যতটা চেয়েছে গহনা, পণের টাকা
তার চেয়ে কি শ্বাশুড়ী করেনি কঠিন তোমার থাকা?
তোমার চেহারা গায়ের রঙের রোজ দেয় কারা খোঁটা
পণের টাকাটা আসেনি বলে কে মারে তোমায় ঝাঁটা?
বলো কে তোমায় দেয় না খেতে দুবেলা পেটটি পুরে
কতবার তুমি মরেছো বলো শ্বাশুড়ীর হাতে পুড়ে?
শ্বাশুড়ী, ননদী তোমাদের যদি আদরে টানিত বুকে
স্বামী ও শ্বশুর পূজিত তোমার চরণে মাথাটি ঠুকে।
চাকরানী নয়, শুধু বউ নয়, হয়ে যেতে রাজরানী
স্বামী ও শ্বশুর নীরবে টানিত তোমার ঘরের ঘানী।
বউ হয়ে তুমি চাও যে স্বামীকে নিজের হাতের মুঠায়
ভেবেছো কখনো ছেলে ছাড়া কে মায়ের খাবার জুটায়?
তুমিও একদিন মা হবে কারো হবেও তো কারো শ্বাশুড়ী
শ্বাশুড়ী যেমন তুমিও তেমন হবে অসহায় বুড়ী।
সেদিন তোমাকে ছেলের বউতে করে যদি ঘরহারা
সে দোষ তুমি কার দেবে বলো তোমার ও নারীর ছাড়া?
নর চায় নারী মাতা, কন্যা, বোন, ভাবী, বধূ রূপে
আর চায় ঘর যেখানে প্রেম ও শান্তি বিরাজে চুপে।
নর জানে তার ঘর মরুভুমি এসব নারীর অভাবে;
সে ঘরে যখন আগুন জ্বালায় নারী অসহিষ্ণু স্বভাবে
মাতা, কন্যা, বোন ও বধূ - যারই প্রতি নর হানে
নির্যাতনের দোষ কাঁধে নিয়ে নিজ ঘরেই দুখ আনে।
ওগো মাতা, বোন, শ্বাশুড়ী, বধূ! বলো বুকে রেখে হাত
দায় কি তোমার নেই সে ঘাতে? নর কি পায় না আঘাত?
তোমরা নারী, স্বাধীনতা আছে তোমাদেরই ওই হাতে
বধূ, মাতা, বোন, শ্বাশুড়ী, ভাবী হাত মেলাও এক সাথে।
তোমরা দিলে নারী-অধিকার - নারী ঠিক পাবে অধিকার
তোমাদের হয়ে নর-ই রুখিবে নর নামে যত কুলাঙ্গার।
এই জগতের যেটুকু স্বর্গ -তোমাদেরই ত্যাগ-অবদান
তোমরাই যদি তোমাদের হও, হবে তোমাদের জয়গান।