সেদিন বারোই রবিউল আউয়াল
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
তার সে রঙে স্বর্গে ছিল আলো
ধরায় নেমে ঘুচালো তার কালো
নামটি যে তার স্বর্গে দেয়া মুহাম্মদ রাসুল
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
মা আমিনার মরুর ঘরে সেই ফুলেরই গন্ধে
ফেরেস্তারা বেহেস্ত থেকে নামল যে আনন্দে।
‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’
দ্যুলোক-ভূলোক গায় অবিরাম
ধরার বুকের পশু পাখি গানেরো বুলবুল
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
সে ফুল যেন পূর্ণ হয়ে ফোটে মুক্তমনে
হয় লালিত বেদুইন মা হালিমার স্তনে।
এতিম বলে কেউ নিল না যারে
এলো শেষে মা হালিমার দ্বারে
দুগ্ধ ধনে পূর্ণ হলো সে ঘর ধনীর তুল
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
দুই বছরের শিশু হয়ে মায়ের কোলে ফেরার কথা
জাগলো বুকে মা হালিমার আরও রাখার আকুলতা।
যে শিশুটির উপস্থিতিই ঘরে
সুখ, শান্তি, সম্পদে ঘর ভরে
তেমন শিশু রাখতে ঘরে সকল মা-ই ব্যাকুল।
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
মা হালিমার ঘরে যখন কাটলো পাঁচটি বছর
রাখাল নবী খুন হয়েছে এলো ঘরে খবর।
ফেরেস্তা তাঁর বুকটি খুলে
পাপের রক্ত নিল তুলে
সেই বুকে তাই চিরতরে শয়তান নির্মূল
মরুর বুকে ফুটল রে কী ফুল!
সেই ফুলেরই বুকে আল্লাহ পাঠাল কোরাণ
দুই জাহানে শান্তি যেন পায় জ্বীন ও ইনসান।
প্রেম-করুণার ছোঁয়ায় ছুঁয়ে
পাপের ভুবন পুণ্যে ধুয়ে
ঘুচিয়ে দিল ধরার বুকে অতীত দিনের ভুল
মরুর বুকে এলো রে কী ফুল!