আসরের শ্রদ্ধেয় ও সুপ্রিয় কবিগন,
কবিতায় মন্তব্য নিয়ে বহু আলোচনা আগেও হয়েছে এবং বিগত কিছুদিন যাবত প্রতিনিয়তই হচ্ছে। যদিও সময় পেলে দ্রুত পড়ি, কোনদিনই এ ব্যাপারে মন্তব্য করা বা বিতর্কে জড়িত হওয়া সমীচীন মনে করিনি। এ রকম একটি আলোচনায় সহসা নীচের কটি বাক্য আমার নজরে এলোঃ
"এই আসরে অনেক কবি আছেন যারা মন্তব্যের কোনো উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করেন না। মন্তব্যের উত্তর না দেবার মতো অসম্মান বোধহয় আর কিছুতে নেই । নয় তারা অহমিকায় ভুগছেন অথবা সৌজন্যের ধার ধারেন না।"
যদিও এটি আমাকেই উদ্দেশ্য করে লেখা নয়, বরং ঢালাওভাবে লেখা, তবুও কথাগুলো বুকে বিঁধলো। কারণ বেশ কিছুদিন মন্তব্যের উত্তর না দেওয়ার দোষে দুষ্ট আমি। শুধু তাই নয়, ঔ উক্তি অনুযায়ী এই অসম্মানের কাজটি করছি, কারণ হয় আমি অহমিকায় ভুগছি না হয় সৌজন্যের ধার ধারি না। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই ভাবনা এলো, হয় নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, না হয় যাঁদের অসম্মান করেছি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো করতে হবে তাদের কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন, এবং কেন এমনটি করছি তারও একটু ধারনা দেওয়া দরকার।
ব্যক্তিগতভাবে আমি ধন্যবাদেরও ধন্যবাদ দেওয়াই বিশ্বাসী এবং এ নিয়ে আমার কবিতাও আছে। আসরের প্রথম দিকে করেছিও তাই। কিন্তু আমাদের জীবন সব সময় এক রকম যায় না। আমার পেশাটা এমন, যখন ব্যস্ত থাকি, সময় মত নাওয়া খাওয়া পর্যন্ত হয় না। দিনে কমপক্ষে নয়/দশ ঘন্টা একটানা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়। আজকাল শরীরের উপর ডাক্তারের নানান বাধ্য বাধকতাও এসেছে। তাই এসব চাপেই এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমার কবিতায় মন্তব্যকারীগনকে একই কথায় "ধন্যবাদ" জানিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট না করে, বরং সেই সময়টুকু তাঁদের কবিতা পড়ে দু চার কথাতে হলেও অর্থপূর্ণ মন্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করব। চেষ্টা থাকলেও তবু সেটিও যে সব সময় করতে পারি এমন দাবী করার অধিকারও আমার নেই। আর এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার খুব একটা আশা আপাততঃ দেখছিনা।
তাই আমার কবিতায় এতদিন মন্তব্যকারীগনের কাছে অকপটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, এবং মন্তব্যের উত্তর না দিলে, বা ততক্ষণাত তাদের কবিতায় প্রতিমন্তব্য না দিলে যাঁরা অসম্ম্মানিত বোধ করবেন বা অখুশী হবেন তাদেরকে বাধ্য বাধকতাহীন পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছি আমার কবিতা পড়া ও মন্তব্য দেওয়া বা না দেওয়ার ব্যাপারে।
সকলের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল।