প্রথম অংশে কবিতা বলতে সহজভাবে আমি কি বুঝি বা বিশ্বাস করি লিখেছিলাম। এই অংশে কাকে আমি কবি মনে করি, কবিদের ভিতর পরিলক্ষিত কিছু ভাবনা ও আচরণ এবং কবিদের কেমন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি এইসব নিয়ে সাধারণভাবে কিছু লিখবো। এ লেখা কোন গভীর গবেষণার ফলাফল নয়, বরং নিতান্তই আমার কিছু পর্যবেক্ষণ, কিছু কবিদের জীবনের বিভিন্ন গল্প পড়া বা শোনা, কিছুটা এই আসরে অভিজ্ঞতা উদ্ভুত আর কিছুটা কবিদের কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা। এই লেখার যে কোন অংশের সাথে যে কেউ অন্য মত পোষণের অধিকার রাখে। এই লেখার কিছু অংশ বা কোন অংশই এই আসরের কোন কবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবে উদ্দেশ্য একটাই, নবীন কবিরা যেন ভালো কবি হওয়ার পাশাপাশি সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসাবেও নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে।

আগের অংশে বৃহত্তর অর্থে কবিতার যে বর্ণনা দিয়েছি সেই কাঠামোতে যখন কারো লেখার ক্ষমতা থাকে তখন তার ভেতর কাব্য প্রতিভা আছে মেনে নেওয়া যায়। তবে কাব্য প্রতিভা কারো ভেতর থাকলেই তাকে কবি বলা যাবে না। যেমন কারো ভেতর গান গাওয়ার প্রতিভা থাকলেই তাকে গায়ক বলা যায় না, কেউ ডাক্তারি পাশ করলেই তাকে ডাক্তার বলা যায় না।গায়ক হতে হলে গান গাওয়াকে পেশা বা শখ হিসাবে নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়বদ্ধতার সাথে ভালো গান গেয়ে যেতে হবে এবং উত্তরোত্তর আরো ভালো গাওয়ার পরিশীলন চালিয়ে যেতে হবে। তেমনি ডাক্তারি পাশ করা কাউকে তখনি ডাক্তার বলা হবে যখন সে তার শিক্ষালব্ধ জ্ঞানকে দায়িত্বের সাথে প্রয়োগ করে অবিরত অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করবে দায়বদ্ধতার সাথে, এবং অভিজ্ঞতা ও নতুন জ্ঞানের পরিশীলনের মাধ্যমে উত্তরোত্তর ভালো চিকিৎসা করার জন্যে নিবেদিত থাকবে।অনুরূপ কবি তাকেই বলা যায়, সৌখিন বা পেশাজীবী, যার ভেতর কাব্য প্রতিভা আছে এবং সেই প্রতিভার নিয়মিত অনুশীলন ও প্রয়োগ করে অবিরত কবিতা লেখে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যদিও কোন একটা বিশেষ বিষয় তার মূলধারা হতে পারে। বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও একজন নিবেদিত কবি কবিতার জগতে সময়ের সাথে যে বিভিন্ন ধারা উদ্ভব হতে থাকে তার কিছু অনুশীলন করে মুক্তমনে। সেই নতুন ধারায় নিজে সার্থক না হলেও যারা সার্থক তাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে। বিভিন্ন ধারার কবিতা নিয়ে অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে কবির শুধু নিজের ধারার কবিতার ব্যাপারে যে অতি উচ্চ ধারণা তা অনেকটাই কেটে যায় আত্মানুধাবনের মধ্য দিয়ে - অন্যধারার কবিতায় যে নিগূঢ় রস আছে তার কিছুটা নিজে আস্বাদন করে, এবং অন্য ধারার কবিতা লেখায় যে কাঠিন্য আছে তা সরাসরি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে উপলব্ধি করে। এ ছাড়া একজন সচরাচর ছন্দ-কবির ভেতর ধারণা থাকে যে ছন্দবিহীন আধুনিক গদ্য কবিতা লেখা খুব সহজ কাজ, আবার একজন আধুনিক গদ্য কবিতা লেখক ভেবে থাকেন যে সেকেলে ধারায় বসে বসে মাত্রা ছন্দ মিলিয়ে কবিতা লেখা নিতান্তই সময়ের অপচয়। কবিতার ভাব ও তত্ত্ব না বুঝেও বৃহত্তর সাধারণ পাঠক ও শিশুরা কবিতার প্রতি শুধু ছন্দ ও শ্রবণ মাধুর্যের জন্যে যেভাবে আকৃষ্ট হয়, আধুনিক গদ্য কবিতা আজও তার বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি, যদিও বক্তব্যধর্মী ও ইঙ্গিতবাহী লেখার ক্ষেত্রে আধুনিক গদ্য কবিতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও গতিশীল মাধ্যম হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কবিতা লেখার প্রতিভা আছে, এবং অল্প কিছু কবিতা লিখেছে এমন কেউ যখন নিজেকে নিজে কবি হিসাবে জাহির করতে থাকে তখনই প্রতিষ্ঠিত কবিগণ অস্বস্তিবোধ করে এবং বলে থাকে সব কবিই কবি নয়। যদিও সম্পূর্ণ ঠিক নয়, তবে এমন উক্তি একেবারে বেঠিকও নয়।কারণ ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠিত কবিগণ যে মানের কবিতা লেখে সেই তুলনায় নতুন কবির কবিতাগুলি তখনও নিম্নমানের। কিন্তু কবিদের ভেতর যেহেতু কবিতার মানের উপর ভিত্তি করে কবির বিভিন্ন পদমর্যাদা (সহকারী কবি, সহযোগী কবি, বিশেষজ্ঞ কবি, ইত্যাদি) দেওয়ার প্রথা নেই তাই প্রতিষ্ঠিত কবিদের এমন মনোভাব হওয়া ও তার প্রকাশ খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এ ব্যাপারে সম্প্রতি কবিত্বে নোবেলপ্রাপ্ত Bob  Dylan এর ছোট্ট একটা উক্তি স্মরণ ও অনুসরণযোগ্য: 'I think a poet is anybody who wouldn't call himself a poet.'। Bob Dylan এর এই উক্তিটি যদিও আত্মঅহমিকায় নিজেকে নিজে কবি হিসাবে ঘোষণার থেকে সাবধান বাণী, তবে কবি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রচার করা যাবে না, সেই অর্থে নেওয়া উচিত নয়। আমি আমার এই সিরিজের শেষ অংশ 'কবিতার আসর'-এ এরকম প্রচারের প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতির উপর কিছুটা আলোকপাত করার আশা রাখলাম।

কবিগণ সমাজের আর দশজন মানুষের মতোই সাধারণ মানষ।তবে অনেক ক্ষেত্রে কবিগণ একটু বেশি ভাবুক, সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। কবিগণ অনেক সময় একটু বেশি মাত্রায় উদাসীন এমন কি উশৃঙ্খল হয়ে থাকে, যার অতিমাত্রা সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়, পরিবারের জন্যে সমস্যার কারণ এবং নিজের কাব্য প্রতিভাকে পরিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে বিকাশের জন্যে সহায়ক নয়। কবিগণ সাধারণত একটু বেশিমাত্রায় আত্মমর্যাদাশীল হয়ে থাকে। এর বিভিন্ন প্রকাশে কবির আচরণে সময়ে অবিনয়ী (উন্নাসিক), সময়ে অতি বিনয়ী (অনেকটা বিনয়ী-দাম্ভিক), সময়ে বেশি আত্ম-কেন্দ্রিক এবং সময়ে অভিমানী ভাব আনে।  কবিগণ যা লেখে তার দায় দায়িত্ব নিজের। সমাজের প্রচলিত নিরিখে কবিগণ তার লিখিত মতের উপর যখন বিশেষ চাপে পড়ে, তখন এমনও বলে থাকে যে আসলে স্রষ্টা তার মতামত কবির চিন্তা ও কলমের/লেখার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করেছে। আসলে এটি ঠিক নয়। অন্য মানুষের মতোই কবি যা ভাবে, যা বলে, যা লেখে, যা করে তার দায় দায়িত্ব তার নিজেরই।

কবিগণ একটু অহংকারী প্রকৃতির হয় কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত আছে। সাধারণ মানুষের কথা বাদ দিলে কবিদের ভেতরেই এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত আছে যা কবিদের কিছুটা অহংকারী হওয়ার ব্যাপারে স্বীকৃতি দেয়। এ ব্যাপারে বিখ্যাত স্প্যানিশ কবি ও সাহিত্যিক Miguel de Cervantes এর উক্তি 'Modesty is a virtue not often found among poets, for almost every one of them thinks himself the greatest in the world.'। এর অন্তর্নিহিত কারণ হয়তো কোন কবির কবিতা যখন বিরূপভাবে সমালোচিত হয়, কবি অন্তর্বেদনায় তার সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্যে সচেষ্ট হতে যেয়েই কিছুটা দুর্বিনীত হয়ে যায়। তবে আমি মনে করি কবিদের সংবেদনশীল মনকে আর একটু সহনশীল করে সমালোচনার যৌক্তিকতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। তাতে কবির কবিতার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  এ ব্যাপারে কবি Randall  Jarrell এর উক্তি খুব প্রাসঙ্গিক এবং মনে রাখলে কবিগণ উপকৃত হতে পারে বা আত্মনিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারে: 'It is always hard for poets to believe that one says their poems are bad not because one is a fiend but because their poems are bad.'।কবিদের আর একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিত যে সবাই কবিতার ভক্ত নয়। কিন্তু কবিগণ কবিতা লেখার পর যাকে কাছে পায় তাকে শুনিয়ে বা পড়িয়ে আত্মতৃপ্তি পেতে চায়। শ্রোতা যখন তাতে মনোযোগী না হয় বা প্রশংসা না করে তখন কবি আত্মাভিমান থেকে বিভিন্ন রকম আচরণ করে থাকে যা মোটেও কবির উচিত নয়| এ ব্যাপারে কবি Ogden Nash এর উক্তি সমাধান হিসাবে নেওয়া উচিত: 'Poets aren't very useful. / Because they aren't consumeful or very produceful.' - উক্তিটি অন্তত: সমাজের সাধারণ মানুষের জন্যে এবং সমাজের নিত্য সমস্যার সমাধানের জন্যে অনেকাংশেই সত্যি। এ ছাড়াও এক কবির কবিতার প্রতি অন্য কবির বিরূপ মন্তব্য পরশ্রী কাতরতা থেকে আসা একেবারে অস্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রে কবির উচিত একাধিক পাঠক ও কবির মন্তব্য ও মতামতের উপর বিবেচনা করা। এবং সে ক্ষেত্রে কারো বিরূপ মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক হলে তা এড়িয়ে যাওয়া।

কবিদের ভেতর একটা কথার প্রচলন খুব বেশি - কবিতা লেখা সাধনার ব্যাপার। এটি সত্যি তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে এটির অপব্যাখ্যা কবিদের আত্মধ্বংসের কারণ হতে পারে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে আজকের প্রযোগিতামূলক বিশ্ব-পরিবেশে যে কোন পেশার শীর্ষে অগ্রসর হওয়ায় কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদিত হয়ে কাজ করার ব্যাপার - এটিই ওই পেশার জন্যে সাধনা। যারা বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতা ও গবেষণা পেশায় আছে শুধু তারাই জানে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে, তারপর কঠোর পরিশ্রমে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার পর যে শিক্ষকতা পেশার শুরু হয় তার শেষ ধাপ প্রফেসর পদে যেতে কতগুলো ধাপ পার হতে হয়, এবং এক একটি ধাপ পারে হতে (প্রমোশন পেতে) কত অর্জন লাগে। সময়ের অভিজ্ঞতা, বা সিনিয়রিটি সেখানে একেবারেই নগন্য। আর তাই বেশির ভাগ উনিভার্সিটি শিক্ষককেই মধ্য-ধাপে অবসর গ্রহণ করতে হয়। তবে একটা সুবিধার ব্যাপার যে এই ধাপগুলি পার হতে কি কি অর্জন লাগবে তা লেখা থাকে এবং প্রত্যেকে ইচ্ছা করলে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে পারে। কবিদের ক্ষেত্রে এরকম ধাপও লেখা নেই আবার কিভাবে উত্তরোত্তর উন্নতি সাধন করতে হবে তার কোন লক্ষ্যও নেই - ভবিষ্যৎটা অনেকটাই মুক্ত পথ যার শেষ জানা নেই। সাধনাটা হচ্ছে নিজের অন্তর্দৃষ্টিকে প্রখর করা, প্রতিদিন সমাজ ও জীবনে যা ঘটে তার পযবেক্ষণকে প্রখর এবং গভীর করা এবং তা কবিতায় সাবলীলভাবে প্রকাশের দক্ষতা অর্জন করা এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা।  অর্থাৎ যা সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দেখে, হেঁটে যায় এবং কিছু পরেই তা ভুলে যায়, কবি ক্ষমতা রাখে তার থেকেই তার কবিতা খুঁজে পেতে, এবং প্রতিনিয়ত সজ্ঞানে কবি তার এই ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এই প্রক্রিয়ার ভুল বিশ্লেষণে অনেক কবিই আত্মধ্বংসের পথ বেছে নেয়। অনেক কবিদের ধারণা নিজে সরাসরি দুঃখ বেদনায় পড়ে অভিজ্ঞতা অর্জন না করলে ভাল কবিতা লেখা যায় না। তখন তারা আত্মধ্বংসাত্মক বিভিন্ন কাজ কাম করাকেই সাধনা মনে করে। অনেকে সংসারের প্রতি উদাসীন হয়, বিবাগী হয়, অনেকে আহার, পান ও ঘুমে অনিয়ম করে কষ্ট বাড়িয়ে কবিতার রসদ খোঁজে, অনেকে বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হয়ে বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কবিতা লেখার ভাবালুতা খোঁজে। এগুলো সবই আত্মধ্বংসাত্মক কাজ যা কবিতা লেখায় অনুকূল তো হয়ই না, বরং কবির স্বাভাবিক মেধা প্রতিভাকে আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দেয়। আমি মনে করি ভালো কবিতা লেখার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে সুস্থ শরীর ও প্রফুল্ল মন যা মানুষকে সবচেয়ে একাগ্রতার সাথে যে কোন বিষয়ের উপর ভাবার ও প্রকাশের ক্ষমতা দেয়।
  
সবশেষে বলতে হয় কবিগণ সাধারণ মানুষের মতো হলেও তাদের ভাবনা, কল্পনা ও প্রকাশের ক্ষমতা সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। এই অন্তর্নিহিত ক্ষমতার পরিচর্যা করে তারা সমাজের অন্যদেরকে আনন্দ দিতে চায়, সত্যের পক্ষে কথা বলতে চায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চায়, প্রচলিত প্রথা ও জীবনবোধের সমালোচনা করতে চায়, ধর্ম ও প্রার্থনার বাণীতে মাধুর্য দিতে চায়। আর যখন তা করে তখন তারা ধীরে ধীরে সমাজের নজরে আসে, অনেকে তাদের কথা শোনে ও মানে, অনেকে তাদেরকে অনুসরণযোগ্য মনে করে। সুতরাং কবিদের উচিত তাদের লেখা, কথা ও তাদের চরিত্র ও আচরণের ভেতর একটা সামঞ্জস্য আনা, যা তার চরিত্রকে সমাজের অন্য সাধারণ দশজনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ করবে, বিশেষ করে তার বলা ও কাজের ভেতরে কিছুটা হলেও মিল থাকবে। তা না হলে সেই কবিকে মানুষ একদিন ভন্ড হিসাবে আখ্যায়িত করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না।  অধিকাংশ সাধারণ মানুষ যে কবিদের কিছুটা অন্য রকম বা পাগলাটে ভাবে, এবং কবিদের স্ত্রীগণ যে প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপারে কবিদের প্রতি সন্দেহ প্রবন হয়, কবিদেরকে সাংসারিক দায়িত্ব জ্ঞানহীন মনে করে তা হয়তো যুগ যুগ ধরে কবিদের অস্বাভাবিক আচরণের জন্যেই, যা এই আধুনিক যুগে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়ঃ এখন দুধ দিতে হবে লাথি না মেরে। কবিদের প্রধান দায়বদ্ধতা হচ্ছে সমাজকে সভ্যতর ও সুন্দরতর করা লেখার মধ্যে দিয়ে। আর তা সমাজকে দেওয়ার জন্যে কবির নিজের জীবন সভ্য ও সুন্দর হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্ততঃ কবির আয়ত্বের ভেতর তা অর্জনে চেষ্টা করা।

আগামীতে কবিতার আসরের উপর লেখার আশা রইল।