জগতের কাজ থেকে আজ মোর ছুটি
ঘরে বসে দু’জনের হবে খুনসুটি।
তুমি বলো, ওঠো ওঠো দিনে কত কাজ
আমি বলি, দেখছো না বরিষণ আজ?
তুমি বলো, মাঠে যাও, ফল-বীজ বুনো
আমি বলি, আজ হই শুধু ঘর-কুণো।
এই ঘরে দু’জনের চিরদিন বাস
জমি, বীজ দুই আছে করি আজ চাষ।
তুমি বলো, ছাড়ো ছাই, আছে কত রান্না
আমি বলি, কেনো চাও ধুঁয়া খেয়ে কান্না?
তুমি বলো, বেশ ভালো, খেয়ো বায়ু-জল
আমি বলি, আজ খাবো সে মেওয়া ফল।
যাহা খেয়ে ছেড়েছিনু বিধাতার স্বর্গ
আজ হোক তাই দিয়ে এ দেবীর অর্ঘ।
তুমি বলো, দেখো নাগো পরি কোন শাড়ী
আমি বলি, শাড়ীহীন থাকো আজ বাড়ী -
তুমি আর আমি শুধু, কেনো আবরণে?
তুমি বলো, বুড়ো খোকা, কত শখ মনে!
আমি বলি, আমি বুড়ো, নও তুমি বুড়ি?
তুমি বলো, অনেকেই ভাবে তুমি ছুড়ি
হাঁটো যখন রাস্তায় গুটি গুটি পায়'
যুবকেরা আজো নাকি আড় চোখে চায়।
আমি বলি, ছুড়ি রবে বহুদিন ধ’রে
আর একটা ঘরণী এলে এই ঘরে।
তুমি বলো, শোন মোর গুনধর পতি
সে জেনো বুড়োর হবে শেষ ভীম-রতি -
যা আছে হাতের কাছে হও সুখী নিয়ে
নইলে জীবন যাবে বনবাসে গিয়ে।
হাত জোড়ে থুড়ি থুড়ি ধরি দুই কান
বলি, তুমি বধূ নও, মোর মধু, প্রাণ।
শুধু নয় একবার, দিক শতবার
বিধাতা এই সংসার তোমার আমার।
গহনা ও শাড়ী চেয়ে তুমি যাও গোস্সা
হাতে করে আমি দিই বাদামের খোসা।
চোখে রাগ, মুখে দেখি ফিক করে হাসি
আমি বুঝি, তখন কি চাও সর্বনাশী
যদি পরো লাল টিপ্, আমি চাই নীল -
শুধু নয় হৃদয়ের, শরীরের মিল।
তুমি বলো, আহা কি যে, হ'লে নাকি বন্য?
আমি বলি, কোনোদিন ছিলাম কি অন্য?
রচনা: ১৯ অক্টোবর, ২০১৬