শেষ রাত্রির নিদ্রা ভেঙে বাইরে দেখি চেয়ে
আঁধার কেটে পূর্ণচাঁদের আলোয় গেছে ছেয়ে।
হেমন্ত শেষ, উঠোন ভরা শীতের শীতলতা
প্রিয়জনের দেহের ওমে নীরব মাদকতা।
এমন সুখের রাত্রি আমার চাঁদের জোত্স্না জ্বেলে
দীর্ঘশ্বাসে শিয়রে মোর কে দাঁড়াতে এলে?
নীরব বোবা চোখ দু'টিতে আগুন ঝরা মায়া
একটু যেন ঝুঁকে বসে খুঁজছে কি সেই ছায়া।
ব্যাগ থেকে সে হাতে নিলো পুরানো এক তেনা
অনেক ছিদ্র হেথায় হোথায়, তবুও গেল চেনা।
সবুজ ঘাসের মাঝখানে তার লাল সূর্য আঁকা
ধরলো মেলে, যার পিছনে বুকটা হ'লো ঢাকা।
চোখ দু'টিতে স্পষ্ট দেখি, নীরব তিরস্কার -
"বুকটা আমার রক্তবিহীন, দুঃখটা নয় তার
দুঃখ মা'কে নগ্ন করে বেচিস শাড়ীখানা
তোদের লোভের এই চেহারা ছিল না মোর জানা।
মায়ের মুক্তি-শপথ নিয়ে ছেড়েছিলাম ঘর
আর ফিরিনি, আপন জনের ভেঙেছে অন্তর।
গোরের ভেতর আজও আমার হৃদয় রক্তে রাঙে
শত মায়ের স্বপ্ন আজও, দুঃস্বপ্নেই ভাঙে।
আমার বুকের রক্তে ভেজা এই যে সবুজ শাড়ী
দিতে এলাম নগ্ন মা'কে, নিসনে আবার কাড়ি'।
গোরের ধুলোয় ময়লা লাগা, গেছেও কিছু ছিঁড়ে
তবুও শুচি আছে এটার সর্ব অঙ্গ ঘিরে।"
বাজলো কোথাও বিজয় দিনের বিজয় তপোধ্বনি
ভগ্ন নিদ্রা দিয়ে গেল স্বপ্নের সমাপনী।