সময় বয়ে যায়, দাঁড়িয়ে থাকি একা
চতুর্দিকে তাকাই, পাই না কারো দেখা।
একটা পাতা ঝরে, একটু বাতাস বয়
আসলো বুঝি কেউ, এমন মনে হয়।
একটু দূরে নড়ে, নিছক গাছের ছায়া
নিত্য আসে যায়, বাড়ায় মিছে মায়া।
একটা সময় ছিল, সবুজ পাতায় ভরা
শাখায় ফুলে ফলে, চাইতো ছুঁতে ধরা।
শূন্য শাখা আজ, ঊর্ধ্বে চেয়ে থাকে
সঙ্গীবিহিন পাখি, সেথায় বসে ডাকে।
হঠাৎ কী একদিন, সঙ্গীটা তার এসে
পাশের ডালে বসে, ডাকবে ভালোবেসে?
নাহয় নিজেই উড়ে, যাবে সে তার দেশে
হয়তো ভাবে তাই, নিত্য হেথায় এসে।
নিদ্রাবিহীন শুয়ে, মাটিই পাতি কান
অনেক চরণ ধ্বনি, জাগিয়ে তোলে প্রাণ।
কাদের যেন শুনি, কেমন চাপা কথা
ফিসফিসানি দূরে, হেথায় নীরবতা।
বুকের 'পরে দেয়, হাতের ছোঁয়া কে যে
মিথ্যে স্মৃতি-স্বপন, বালিশখানাই ভেজে।
বাইরে কাঁদে বরষ, ঝড়ের দীর্ঘ-শ্বাসে
আসবে কাছে কেউ, কাঁদে অলীক আশে।
জগত আছে বাঁধা, স্বার্থ-ধনের চাকায়
ঘুরছে যে যার মতো, কে আর ফিরে তাকায়?
বাইরে চলে সবই, আমার সময় থেমে
নিত্য খুঁজি কারে, আসবে কী কেউ প্রেমে?