উদাস দুপুরে একাকী নীরবে
বসে তুমি বাতায়নে
কতদিন ছিলে পথ চেয়ে মোর
ব্যথাতুর আনমনে।
দিনের শেষে মেলেনি যখন
আমার বিরল দেখা
কত অনুযোগে বদনে ফুটেছে
বেদনা-ক্লিষ্ট রেখা।
কত না ভেবেছো হয়তো বা আমি
হারিয়েছি পথমাঝে
হয়তো পড়েছি কারো হাতে, যার
লাগবোনা কোনো কাজে।
যেদিন পেয়েছো বুকে ধরে মোরে
চেয়ে অপলক নয়নে
মিটায়েছো তব হৃদয়-তৃষ্ণা
পুনঃ পুনঃ চুম্বনে।
ওগো বধূ, ওগো মধু প্রেমিকা,
তুমি শুধু নও একা
সকল স্বজন সব প্রিয়জন
খুঁজেছে আমার দেখা।
তোমারই মতো তাদের মনও
হেসেছিলো শিহরণে
অথবা কেঁদেছে দুঃখ বেদনায়
আমাকে দেখার ক্ষণে।
কোনোদিন যেন মেটেনি তবুও
তাদের বুকের পিয়াস
স্বজন-স্মৃতির সেঁতু-বন্ধনে
যতনে করেছি বাস।
সহসা তোমরা ভুলেছো আমায়,
চাওনা আমার পথে
অনুভব তবু মরেনা কভু
তোমাদের হিয়া হতে।
আজিকে সে সব করো বিনিময়
ক্ষণিকে যন্ত্র-পাতায়
মুছে গেলে কাল কি নেবে বুকে,
র’বে যা মনের খাতায়?
প্রিয়জনের যে ছোঁয়ার গন্ধ
কেমনে শুঁকিবে তাতে
স্মৃতির বাকসো খুলে কোনোদিন
কেমনে নেবে তা হাতে?
জাদুঘরে তা ইতিহাস করে
কেমনে রাখিবে ধরে
সুখ বা দুঃখের কি সুর বেজেছে
কোন মহা-অন্তরে?
একদিন ছিনু আমি তোমাদের
প্রাণের অতীব প্রিয়
আজিকে করেছো যন্ত্রে আপন,
আমারে অনাত্মীয়।
হয়তো আবার কোনো একদিন
তুলে নেবে মোরে বুকে
সেই আশা নিয়ে নিশিদিন কাঁদি
নীরবে, হেলার দুখে।
রচনাঃ ২৫ নভেম্বর, ২০১৬