প্রাসাদ কয়, ওরে বস্তি তুই যে কী অস্বস্তি
স্যাঁতসেঁতে সদা দুর্গন্ধ।
বস্তি কয়, ওরে নির্লজ্জ আমার বুকে তো তোরই বর্জ্য
আলোটাও করিস তো বন্ধ।
আমার পাঁজরে দাঁড়িয়ে জিরাফ গলাটা বাড়িয়ে
শুষিস সবটুকু বিশুদ্ধ বায়ু
আমার বুকেতে যারা হয় বিধাতার বায়ু হারা
হারায় তাদের দীর্ঘ আয়ু।
ওদেরই রক্ত ঘামে তোদের ও সুখের ধামে
অবিরাম মদির ধারা বহে
তোদের শত পাপ-কর্মে বিধাতাও আজ শর্মে
নীরবে আর কত যাবে সহে?
অনেক তো হলো ঋণ সামনে আসিছে দিন
করিতে হইবে সবই শোধ
দুঃখ ও রাগের চাপে যদি আমার এ বুক কাঁপে
সেদিন তোর হইবে বোধ।
ওরে মূর্খ অট্টালিকা শেষ হবে তোর অহমিকা
আসবি সে’দিন এ বুকে নেমে
দেখবি এখানে মানুষ কত ছোট খুপরিতে শত শত
থাকে ঠাসাঠসি জীবনের প্রেমে।
তোর বুকেতে আজ যারা দর্পে হয় আত্মহারা
সে’দিন তারাই জীবনের ভয়ে
এ ভূমির এতটুকু কম্পে ভীত হরিণীর লম্ফে
নেমে আসে এ মাটির আশ্রয়ে।
যাহারে রাখিয়া নীচে এগুবি ফেলিয়া পিছে
একদিন তাদেরই মহাটানে
পিছাইবে তোর গতি ঘটাইবে মহা-অবনতি
আনিবে তাদেরই মাঝখানে।
উঁচু মাথা নিচু করে একসাথে হাত ধরে
মিলেমিশে কাছাকাছি রহ
নইলে, নয় বেশি দূরে শত বস্তি এক সুরে
আনিব তোদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা নয় না পাওয়ার জিজ্ঞাসা
সবার চাই ন্যূনতম বাসস্থান
নাই যদি পারো দিতে আমরা রহিব বস্তিতে
তোমাদের পাঠাইবো গোরস্থান।