আমার সুখের দেশ
৯ নভেম্বর, ১০১২
কেরাভেল হোটেল, হো চি মিনঃ সিটি, ভিয়েতনাম
(শুধু পার্থিব সম্পদই যদি মানুষের সুখের কারণ হতো, তাহলে বিশ্ব জরিপে বাংলাদেশের মানুষেরা কিভাবে সুখী মানুষ বলে গন্য হয়?)
সব পাওয়ার কল্পনায়, পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অন্ধ যখন বিশ্ব
কে ভেবেছে ধরা মাঝে না পেয়েও সুখে আছে শত কোটি নিঃস্ব!
এ বিরাট বিশ্বের ছোট্ট এক দেশ, ছোট্ট এক ভূমি
আমার সে জন্মদাত্রী মাতৃবাংলার পদধুলি চুমি
বহুদূরে বয়ে গেছে তরুণীর উচ্ছাসে সর্পিল নদীগুলি সাগরের বুকে
সেই নিঃস্ব জননীর সন্তানেরা আছে নাকি সুখে!
বিশ্ব আজ অবাক তাদের সুখের ধৃষ্টতায়
সর্বহারা মানুষেরা কোথা থেকে সুখ পায়?
ওদের তো জানা নেই কি ভাবে মানুষ মানুষের জন্য
নিজের মুখের গ্রাস ভাগ করে নিজেকে ভাবে ধন্য।
হাজার দুখের মাঝে এখানে মানুষ জানে প্রাণ ভরে হাসতে
হাজার না থাকার মাঝে ভালোবাসা বুকে আছে, জানে ভালবাসতে।
হাজার বিপর্যয় তাদেরকে শিক্ষা দেয় জীবনের সংগ্রাম
মৃত্যুর মুখোমুখি বিজয়ের অট্টহাসি, সুখ তো তারই নাম।
হাজার পরাজয় মূল্যের অবক্ষয়, তবু কন্ঠে জীবনের জয়গান
মাটির কুঁঠিরে খেজুর পাতার বিছানায় স্বর্গের ময়দান।
সেখানে সন্তান শান্তির ঘুম দেয় মায়ের বুকে
সেখানে পুরুষ নারীরা আগামীর স্বপ্ন দেখে প্রণয়ের সুখে।
ঝি ঝি পোকা গান গায় মধুর পরশ বুলায় দখিন সমীরণ
বৃষ্টি নুপুর বাজায় পাখিরা জারি সারি গায় সবুজে সবুজ হয় মন।
এই বৃষ্টি, এই রোদ, রুপালি ধুসর মেঘের ফাকে আকাশের নীল্
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ মানুষ্ খুঁজে পায় জীবন আর প্রকৃতির অদ্ভুত মিল।
সেখানে কোনো যন্ত্র নয়, অর্থ প্রাচুর্য্য নয়, বিধাতা রাখে ভালো
হে পৃথিবী ভুলোনা তাদের, তাদের অন্ধকারে দাও শধু আলো।
বিনিময়ে তারা দেবে পৃথিবীর ঘরে ঘরে সুখে থাকার মন্ত্র
মানুষ মানুষই রবে, হবেনাকো শুধু পাওয়ার যন্ত্র।