আবার কোনদিন যদি হয় দেখা
কী হবে পড়ে আমার ভাগ্য-রেখা?
পড়ব না তোমারও। শুধু ললাটের স্বেদকণা
মুছে দেব আলতো হাতে, আনমনা।
সে স্পর্শ যদি দেয় কিছু উষ্ণতা
বন্ধু গো, ভেঙো না সেই নীরবতা।
শুধু বুকের কাঁপন আর দেহের শিহরণ
নীরবে আবার পড়ে নেবে দুটি মন।
তারপর, নিশ্চুপ কেটে যাবে কিছুকাল
হয়তো বা বাতাস বয়ে যাবে উন্মাতাল
হয়তো জলের বুকে খেলে যাবে ঢেউ
তবুও কোনদিন জানবে না কেউ
সে বাতাস নিয়ে এসে কোন্ সৌরভ
দুটি মনে রেখে গেল কোন্ অনুভব।
শুধু তোমার আর আমার হবে জানা
সে বাতাস এনেছে আবার মৃত্যু পরোয়ানা
প্রথম যা এসেছিল কোন এক বসন্ত-রাতে
যখন তোমার হাত ছিল আমার এই হাতে।
যখন কৃষ্ণচূড়া প্রথম লাজে ছিল রাঙা
আর পূর্ণিমার চাঁদ ছিল বনে বাধ-ভাঙা।
কী হবে এর বেশী স্মৃতির পথে পিছনে হেঁটে
কী হবে জেনে কত কাঠে আগুনের তৃষ্ণা মেটে?
কী হবে জেনে কে আজ কতটুকু দহন শেষে
টিকে আছি আজও ভস্ম বা অঙ্গার বেশে?
শুধু সম্মুখের যতটুকু পথ আজও আছে বাকি
জানব, সেইটুকু ছাড়া জগতের সবকিছু ফাঁকি।