আকাশে আষাঢ়ে ভরা জল,
ভূতলে উথলে চলে জল;
কি চমতকার!
জরাক্লিষ্ট পরিষ্কার- পেড়িকাদায় নেবে ঠাঁই।
খুব.. খুব ভালো হলো তাই!

নীল কষ্টে বানভাসি ধাতস্থ কমল
লাফিয়ে বাড়ছে জলে,
কষ্ট খাদক সে সতত জ্বলে, নীল-বেগুনী ফুলে।
একশো বছরের নিধন চক্রের কষ্টের কষ্টে,
সে কী এখন অপূর্ব প্রতিবাদী নীলা!
এখন শের নাই, তবুও আছে বাংলা;
পরিশোধিত আদরে, ডাকি তারে কচুরিপানা।

পানা কি প্রয়োজন?
সব যে কুদরতি; প্রকৃতির মুন্সিয়ানা ও আয়োজন।
এ সময়ে তবে,
কাকে কাকে প্রয়োজন, জাঁহাপনা?

১২ই জুলাই ২০২৪

#  বিংশ শতকের প্রথমার্ধে কচুরিপানার আধিক্যজনিত প্রতিরোধে ব্যপক কর্মসূচি চলে। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন এবং তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে কচুরিপানার বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালান।

# কচুরিপানা জল শোধনে দূষিত জল থেকে ক্যাডমিয়াম, নিকেল, জিংক, সীসা, পারদ, ইত্যাদি ভারি ধাতু শোষণ করে জল পরিবেশকে জীববৈচিত্র্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।