অশুভ থাবায় উড়ে গেছে পা; বিচ্ছিন্ন।
বাবার কাছে শেষ চাওয়া-
কলেমায় হোক সাফ,
জীবন বেঁচে দিয়ে মমিনুলের জাগতিক দায় ছিন্ন।

জীবন কত দামে,
দায় কার ইনসাফ?

দানবীর মহসিন কলেজে লেখাপড়া শেষ;
হয়নি যে শিক্ষা,
কে কারে দেয় নিরাপত্তা ভিক্ষা!

ডিপোর সামাজিক বন্দরে,
বন্দী হাভাতে ভেতরে- অদক্ষ মেহনতী শ্রম।
শ্রমদাসদের আর্তচিৎকার শুনলেও হতে পারে
যাবে কারো সম্ভ্রম!

থেমে যাবে, অবশেষে, মালে মালে জাহাজ ছেড়ে যাবে।
নতুন বাজার খুঁজবে মালিকানা পলির দেশে।
আসবে দরবেশ, নয়াবেশে নয়ামন্তর সাথে।

ভীরু মনে দেখে যাক সৈকতে চরা
আওয়াজে ভীতুর ঝাঁক লালকাঁকড়া ,
উঠতে পারো যদি অন্তজেরা, ওরে, উন্নত কোনো জাতে।।

নড়াইল, ৬ই জুন ২০২২

প্রেক্ষাপট: ৪ঠা জুন ২০২২। চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণ ট্রাজেডি। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই রাসায়নিক গুদামে কর্মরত অনেকের ভেতর একজন চট্টগ্রাম মহসিন কলেজের তরুণ বিবিএ স্নাতক নিহত জনৈক মমিনুল। মৃত্যু পূর্বে মুঠোফোনে তাঁর মর্মস্পর্শী শেষ কথা, "বাবা, বিস্ফোরণে আমার একটা পা উড়ে গেছে। আমি মারা যাচ্ছি বাবা, আমাকে মাফ করে দিও।"