মুক্তি চায় এ ধরার সকল মানব
মুক্ত হতে করছে কঠোর সাধন
কোথা কি আছে তাদের দৃঢ় বন্ধন
মুক্তি কিভাবে হয় ।
ধর্ম,শাস্ত্রে আছে মোক্ষের নিদান
হরেক প্রকারেরই মুক্তির বিধান
সারা জীবন সংযম ও কৃচ্ছ্রসাধন
সহজে হওয়ার নয়।
পৃথিবীর মানব কেউ নয় পরাধীন
তবুও মানব করছে মুক্তির সন্ধান
জগতে দুঃখ ও পুণর্জন্ম হতে ত্রান
সবার আকাঙ্খা রয় ।
বিভিন্ন যোগ দ্বারা হয় মুক্তি সাধন
জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি যোগে সমাপন
ধ্যান,অভ্যাসের দ্বারা ষড়রিপু দমন
এতে মোক্ষলাভ হয়।
জ্ঞান নয় নৈমিত্তিক বিদ্যার অর্জন
আত্ম উপলব্ধিই জ্ঞানের উপকরণ
জ্ঞান দেহের শক্তিকণারই জাগরণ
মনকে করা যায় জয়
মহাজাগতিক শক্তিকণা সর্বত্র বিচ্ছুরণ
এর সঙ্গে দেহশক্তিকণার একীভূতকরণ
দুই শক্তিকে জানলে হয় জ্ঞন উজ্জীবন
এ জ্ঞানও মুক্তি উপায়।
বেঁচে থাকতে কর্মের একান্ত প্রয়োজন
গীতা বলে মুক্তি হলো ফলাকাঙ্খা বর্জন
ফলাকাঙ্খাই বন্ধন দুঃখের প্রধান কারন
ফলাকাঙ্খা ত্যাগে মুক্তি হয়।
ভক্তিযোগে ঈশ্বরের উপর সম্পুর্ণ সমর্পণ
মহাবিশ্বের সমস্ত ঈশ্বরশক্তিকণার নিয়ন্ত্রন
সেই শক্তির উপর নির্ভরই দুঃখকষ্ট মোচন
ভক্তি ও পূজাতে সম্ভব হয়।
মনের উপর অজ্ঞতার আবরণই বন্ধন
আবরণ সরে গেলেই মুক্তি দেয় দর্শন
কাম ক্রোধ লোভ মোহ মদ ঈর্ষাই কারণ
মনকে করতে হয় জয়।
ষড়রিপু বর্জন ও নির্ভরতায়,প্রেম জাগরণ
এতেই হৃদয়ে হয় পরমানন্দের উদ্গীরণ
জগতে দুঃখ যন্ত্রনা দুশ্চিন্তার হয় সমাপন
রিপুর বন্ধন থেকে মুক্তি হয়।
বহু মতে মোক্ষের পথ গোলোকধাঁধার মতন
নানা প্রকারে করা যায় মুক্তানন্দের আস্বাদন
ভ্ক্তিযোগ সহজ পথ নদের মহাপ্রভূর শিক্ষন
পুণর্জন্ম থেকে মু্ক্তি সে আমার নয়।
এ জন্মেই পেতে চাই মুক্তি মহানন্দময় ।।