সেদিন শীতের ভোরে
শীতল  উত্তরে  বাতাস বহিছে ধীরে ধীরে
              আমি বসে বাতায়নে
              পাখি উড়ছে গগনে
               দেখি দৃশ্য সযতনে
মন মোর বিহঙ্গের মতো আকাশেতে ওড়ে

আমার আশা, পাখির চোখে দেখবো পৃথিবীকে
              রাতে স্বপ্নে আমি দেখি
              উড়ছি আকাশে একি
              চারদিকে দিচ্ছি উঁকি
আনন্দে আত্মহারা দেখছি নীচে বাড়ী মানুষকে

শীতের সন্ধ্যা নামছে ধীরে সূর্যি চলে গেছে পাটে
              তারা করে জ্বল্ জ্বল্
              জ্যোৎস্নায় ঝল মল্
              কমেছে লোক চলাচল
একজোড়া প্রেমিক এখনো বসে খোলা এক মাঠে

অট্টালিকায় সুসজ্জিত ঘরে নাচা গানা খানা চলছে
               চলছে নাচ উদ্দাম
               গ্লাস ভর্ত্তি অবিরাম
                এ যেন অমরধাম
হরিলোট চলছে জনসাধারন থেকে টাকা লুট করছে
  
দেখি গাড়ী বারান্দা নীচে দুটি নাবালক আছে বসে
                    আঠ দশ বয়স হবে
                   গায়ে কিছু নাই সবে
                    শীতে থর থর কাঁপে
হাজারো গৃহহীনের প্রতিনিধি তারা আমাদের এ দেশে

এক চায়ের দোকান সামনে ভিখারী মা দাঁড়িয়ে আছে
                    সাথে আছে তার মেয়ে
                    সারাদিন আছে না খেয়ে
                    দোকানীর দিকে চেয়ে
খাবার না পেয়ে কত অসহায় গরীব এ দেশে রয়েছে?

মাটির বাড়ীতে আছে যারা গ্রামের ছোট মাটির ঘরে
                      ভাঙা দেয়ালের কাঁপা
                      বাস শিশু বৃদ্ধ বনিতা
                      হঠাৎ যদি পড়ে চাপা
গরীবরা যাচ্ছে মরে, আবাসের টাকা নেতা নিচ্ছে ধরে    

গরীবের মুখের গ্রাস কেড়ে যারা করে জৌলস ফুর্তি
জাগো জনতা দাও জয়নাদ জল্লাদদের কর সমাপ্তি।।