সেই দ্বাপর যুগে তোমাকে বিবস্ত্র করেছিল যারা
এখনও বীরদর্পে সুযোগ স্বার্থ খুঁজে বেড়ায় তারা
দ্রৌপদী, তোমার সময়ে মহারাজা ছিলেন অন্ধ
অন্যায় অনাচার দেখতে পেত না রাজা স্নেহান্ধ
আমত্যগন ভীষ্ম, দ্রোনাচার্য, কৃপাচার্য ও, বিদুর
নিশ্চূপ, মাথা নিচু করে বসে ভয়ে রাজপুত্রের
তারা ছিল রাজান্নভোগী, উমেদার ও কৃপাপ্রার্থী
স্বার্থবাদীর দল, মুখে বড় বড় কথা, নাই জাগর্তি
অনেকের মাথায় ছিল রাজপুত্র দুর্যোধনের হাত
তারা ছিল বেপরোয়া, নির্মম দুর্দমনীয় ও বজ্জাত
রাজার আনুকুল্যে নির্ভয়ে করেছে হত্যা লুঠ ধর্ষন
শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভাবের পরে হয়েছে তাদের বিসর্জন
ধৃতরাষ্ট্রের মতো অকর্মন্য শাসক এখনও আছে
তার আদেশে দুঃশাসনেরা কোমর বেঁধেছে কসে
আজ এরাই চালায় ব্যভিচার, বিভীষিকা হত্যালীলা
নিরীহ গরীর প্রজারা ভয়ে কুঁকুড়ে থাকে সারাবেলা
হাতে যৎসামান্য পেলে মাথা নিচু চুপ করে থাকে
প্রতিবাদ করলে জতুগৃহ থেকে পারবে না পালাতে
রাজার অমাত্য সেন্য সামন্তের একমাত্র লক্ষ্য লুঠ
সমর্থন বা সম্পত্তিবাড়ী দখল করতে পাকায় ঘোঁট (
শাসকের কর্ত্তব্য প্রজাদের ন্যায় ও সুরক্ষা প্রদান
দুর্বল যারা অসহায় তারা, তাদের দুর্দশার সমাধান
দ্রৌপদীগন, যারা তোমাদের বসন ধরে দিচ্ছে টান
প্রতিজ্ঞা কর তদের হাঁটু ভেঙ্গে রক্তে করবে স্নান
সময় হলে ধরায় ভগবানের আর্বিভাব অবশ্যম্ভাবী
দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনে পুনঃ ধরায় আসবে ঋদ্ধি।।