মানুষের জীবন এক মৃত্যুর বিশ্বাস

বেরিয়েছিলাম পথে, মায়ের মায়াবী আঁচল ছেড়ে
বয়ঃসন্ধি পেরোবারও আগে, কোন এক অমবস্যা
অনন্ত উজান সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে হাঁড় কাঁপা মাঘে।

পেছনে পাঠরত প্রিয়তম সহপাঠী সুন্দরের শিস
ভাত কাপড়, পরিজনের দাবী, অভাবী ঘরের ছেলে
মুছে মুছে চোখের পরিতাপ, কবিতার খাতা রেখে
সযতনে কোন এক উলজন কার্ণিশে, করেছিলাম পাপ।

এভাবে অন্যায়পথ, এভাবে প্রিয়তম সোনাইয়ের জল
ঠেলেঠেলে দূরের মন্দিরে, কৃষকের ছেলে আমি
অনুগত দূরগামী পরিপার্শ্ব নাজানা ট্রেনের অন্ধরে।

আমারও ছিল কিছু বন্ধুজন, প্রেমিকা, আমারও ছিল বাঁশি
আমিও পায়ে হেঁটে ভুগা হয়ে চাঁনপুর  চা বাগান পেরিয়ে
ভারত সীমান্তের কোন উঁচু বিরান টিলার শিখরে
শোকাচ্ছন্ন তৃণদের প্রতিবাদী ভাষা হয়ে লিখেছিলাম গান।

মুখর শিশুর মতো আমার গাঁয়ের গাছে পথের পাঁজরে
আমার চিৎকার রেণু  আমার স্বপ্ন অভিমান, করেছি অর্পণ
জানি আমারে রাখেনি  মনে তবু সেই শাণিত উল্লাস আসমান।

মানুষ থাকে না মনে, নির্ধারিত বাতাসের বেগে সব স্মৃতি মুছে যায়
তবুও ফিরে  মানুষ প্রিয়তম ঝড়ের শহরে প্রতিজ্ঞার স্রোতে
বিশ্বাসের তরল ঢেলে খোঁজে মানুষ প্ৰথাস্মৃতি, আশ্চর্য দীপ
নাড়িপুতা খড়ের আদর আমারে মেরে যেন হয় মহামতি।