একজন মাধবীলতা ছিল গত শতাব্দীতে ক্ষণকাল! সেই মুখ কিছুতেই মনে করতে পারিনা আর এখন, খুব আফসোস হয়, অনুশোচনাও করি।

প্রায়ই বিকালে ডাক দিয়ে নিয়ে যেত বংশী নদীর তীরে, ওখানে মিষ্টি রোদ আর শীতল হাওয়া মিশানো আলিঙ্গনের উষ্ণতা নিত সে,
আর আমি  নিতাম তার কদলীকান্ত বুকের নির্মোহ গন্ধ...

এক হেমন্ত সন্ধ্যায় রহস্য ইশারায় ডাক দিয়েছিল সে -  আলোছায়ার পথ ধরে আমরা হেঁটে গিয়েছিলাম চামেলীবাগে সাহানা ভাবীর বাড়িতে -
ওখানে কাঁচা পিয়ারা কামড় দিতে গিয়ে কামড় লেগেছিল জিহবায়... যেন বৃশ্চিক দংশন করেছিল!

আর একবার গিয়েছিলাম পান্থপথে কাফে চিরোকীতে, ওয়েটার হলুদ বাতি নিভিয়ে দিয়ে  জ্বালিয়ে দিয়েছিল নীল বাতি, কমলার কোয়া চুষতে গিয়ে আশ্লেষ হয়েছিল ঠোঁট...  মগ্ন আবেশে কেটেছিল দ্বিপ্রহর।

আশ্বিনের এক নিঝুম জোছনা রাতে
সাদা শাড়ি পরে রাধিকা হয়ে কাছে এসেছিল সে, আমলকীর বনে চলে গিয়েছিলাম সন্তর্পণে... জোনাকিরা জ্বলে উঠেছিল,
চাঁদে লেগেছিল আগুন... রাতভর কুসুমের গন্ধে মাতাল হয়েছিল বাতাস, আর সে হয়ে উঠেছিল লীলাবতী।

****