বিষণ্ণতা নেই
এই শহরকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না কেউ একজন
আজ চলে গেছে
বোঝা যাচ্ছে না কেউ চলে গেছে অনন্তের পথে আজ সকালে-
মসজিদে আযান হয়েছে, মুসুল্লীরা চলে গেছে সব নামাজে।
সংবাদপত্রের গাড়ি ছুটে যাচ্ছে মফস্বলের দিকে
কারখানার শ্রমিকেরা চলে যাচ্ছে কাজে
ক্লাশ শুরু হবার ঘন্টাধ্বনি বাজছে স্কুলে স্কুলে
ছাত্র ছাত্রীরা চলে যাচ্ছে ক্লাশে, কেউ হেঁটে,
কেউ রিক্সায়, কেউ বা গাড়িতে করে।
সকালের রোদ্দুরকে আজ বিষন্ন দেখায়নি
পাখিরা গান গেয়েছে, সে গানে বিষণ্ণতা নেই
পাশের বাসায় বালিকা গান শিখছে
হারমনিয়াম বাজছে, তবলার তাল থেমে নেই।
বিষণ্ণতা নেই অফিসগামী যাত্রীদের
বিষণ্ণতা নেই রিক্সাওয়ালার, ভ্যানওয়ালার,
বিষণ্ণতা নেই গার্মেন্ট শ্রমিকের, ঠেলা চালকের,
বিষণ্ণতা নেই হকারের, কোনও কামারের।
খেলার মাঠে, পার্কে, লেকের ধারে, মানুষ হাঁটছে
প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছে হৃদরোগীরা
দোকানীরা দোকান খুলেছে, বিক্রি করছে পশরা
বাস স্টপেজে, স্টেশনে, লঞ্চঘাটে যাত্রিরা ছুটে যাচ্ছে
কারোরই চোখে মুখে কোনও বিষণ্ণতা নেই।
সকল বিষণ্ণতা আজ কেবল মৃতের আত্মজনের,
এই শহর থেকে শববাহী এ্যাম্বুলেন্স
সাইরেন বাজিয়ে চলে গেল মৃতের গ্রামের দিকে, সেখানেই মাটির তলায় তার শেষ আশ্রয় হবে।
~ কোয়েল তালুকদার