পুরো এক শতাব্দী কাটিয়েছি ঘুমে,
এক মুহূর্তে জন্য জেগে ওঠে দেখি, কুমড়ো ফুলটি ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।
যেই মুখ আমাকে আর আমার স্বপ্ন কে বাঁচিয়ে রেখেছিলো,
ঘুম ভাঙতে দেখি এতটুকু মুখ সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইয়েমন কিংবা ইউক্রেনের রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
আদৌ কোনো মুখ ছিলো কিনা বুঝে উঠতে না পেরে,
মেপে দেখি তার উচ্চতা দেড় হাত থেকে ৫ ইঞ্চি কমে গেছে।
পর মুহূর্তে আমি আবার ঘুমে তলিয়ে যায়।
কয়েক শতাব্দী আমি স্বপ্ন বিভোর হয়ে রয়,
একটি পাহাড়ি ফুলের খুঁজে।
জেগে উঠে দেখি আমার ফুলের কোনো অস্থিত্বই ছিলো না,
ওইখানে শোভা পাচ্ছে সুউচ্চ দালান আর কিছু নরপশু।
আমার ফুল শৈশবে একবার ঘর হারিয়েছিলো অন্যের ঘর আলোকিত করতে,
আজ আমার ফুল বিলীন হয়েছে নরপশুর মাটি ভক্ষণের ক্ষুধা নিবারণে।
আহা! আমার প্রিয় পাহাড়ি ফুল! এতো উদার হলে কবে?
এইবার আমি ঘুমে লুটিয়ে পড়ি নি, এতো ঘুম কাতর আমি না!
সটাং করে মাটিতে উপড়ে পড়েছি, ঠোঁটে ফেনা জমাতে জমাতে।
উৎসুক জনতা যখন আমাকে জাগাতে ব্যস্ত,
তখন আমি দেখতে গেলাম তনু কে।
কোন এক শকুন থাকে এখনও তাড়িয়ে ফিরছে, হয়তো মনে।
আমি গেলাম আমার প্রিয় টিএসসিতে,
কোনো এক তরুণী ভরা সমাবেশে জামা খুলছে, হয়তো বাধ্য হয়ে।
আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কয়টি প্রিয় মুখ এমনকি দালানও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছে এই বিবস্ত্র দৃশ্য,
ওদের বয়স কী ১৮ হয়েছে? এইসব দেখে বেড়াচ্ছে। নাহ, এই দেশে আইন নাই।
এতো হতাশা নিয়ে আমি ধরতে যায় একটি ফড়িং,
যাকে আমি জন্মের পর থেকে তাড়া করছি।
হাত বাড়াতে ই সে এইবার ধরা পড়লো মুষ্টি তে।
কী আমি দেখবো? বললো এক উৎসুক জনতা।
এমন করে হাত মুষ্টি বদ্ধ করে আছে কেনো সে?
এমন করে কেউ হাত পা টান টান করে শুই?
উৎসর্গঃ ইভানা