প্রিয়তমা,
তোমাকে এই বলে কী ডাকা যাবে আজও?
মাঝে মাঝে তুমি অতীত না বর্তমান তাল ঘোল পাকিয়ে ফেলি,
এই যেমন জীবনের সাথে আমি পাকিয়েছি তেমনই।
তুমি বর্তমান আর অতীতের এমন এক সুক্ষ রেখায় আটকে যাও যে,
ভালো..
বিড়বিড় করি, কী যেন বলার ছিলো?
যতক্ষণে মনে পড়ে ততক্ষণে সংযুক্ত শব্দাবলী বাসি হয়ে যায়।
স্মৃতির জাদুঘরে ঘুরা ফেরা করি, তোমার ওই স্থূল নাক একবার দেখার আশায়!
তবে আজকাল কী যেন হয়েছে দৃষ্টি খুব ঝাপসা হয়ে গিয়েছে,  
মস্তিষ্ক যেন অচল হয়ে পড়ে থাকতে চায়।
যেমন করে আগের দিনে ফোনের ব্যাটারি ফুলে গরম হয়ে থাকতো,
আর ব্যবহারকারী ভাববো এই বুঝি গেলো..
তারপর মস্তিষ্ক এর বিলুপ্তি ঘটে,
যা থাকে তা এক আস্ত খুলি ভিতরে যেন ইঁদুর মরে পচে আছে,
এ কী মস্তিষ্ক নাকি আলমারির নিচে মরে পড়ে থাকা কোন এক ইঁদুর?
তা কিভাবে হয়!
মরতে হলে তো জন্ম হয়, বাঁচতে হয় কিংবা জন্মে ই মরে যেত হয়,
মস্তিষ্কের তো কিছুই হলো না।

এই সেই দিন মনে পড়লো কোন এক যুবতীকে,
ঢাকা শহরে এতো ধুলাবালি কেন বাবা!
কিছুই ঠিক মতো দেখা যায় না।
চশমা হাতড়ে নিলাম!  
চোখে দিতেই দেখি একটি ফ্যান ভো ভো  করে ঘুরছে।

ও কী যেন বলছিলাম!

এইবার একবার নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ দেখাবো ভাবছি,
একজন পরামর্শ দিলো " একটা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখান মশায়"
মনোরোগের সাথে শল্যবিদ্যার সম্পর্ক না থাকায় যাইনি।
এতো উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হচ্ছে ওরা নাকি এখনও ওইখানে চুরি কাচি চালাতে শিখল না।
ও নাক গলা বিশেষজ্ঞ দেখতেই" নাক উঁচিয়ে ব্যাটা কিনা বলে ওই নাক পচে গেছে।"
মনে মনে বলি "ব্যাটা এই কী সমাজ নাকি যে পচে গলে গেছে। "
পরক্ষণেই মনে হলো নাক পচা দের নিয়েই তো সমাজ হয়।

তবে বাসি এখনও ঠাহর করে বলতে পারছি না,
ঠিক কী?


উৎসর্গ: কাকে আর উৎসর্গ করা যায় তোকে ছাড়া। যে আমাকে আমার মতই করে বুঝে। আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, ৪০০ কিমি দূরে থেকেও মনে হয় না দুরত্ব আছে আমাদের। যখনই দেখা হয় বা হয় না আমরা সেই প্রথম দিনের মত।