তুমি না আসার নিশ্চয়তা র মাঝেও ,
আসার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র যে আশা আমাকে রোমাঞ্চিত করে,
তাকে বোধহয়....
জানি না কী বলে।
এতো নিশ্চয়তার পরও যে হৃৎস্পন্দন গতি সীমা অতিক্রম করে যায়,কিছুটা ব্যথা অনুভব হয় পাঁজরের ভিতর;
বই খোলা থাকে, চোখ বইয়ের দিকে নিবদ্ধ থাকে, শুধু দৃষ্টি টা ঝাপসা হতে থাকে,
তাকে কী নামে ডাকা যায় বলো?
মস্তিষ্কের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, আমি পড়তে থাকি
তবে কেন জানি তার সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ ঘটে না।
একে ই বা কী বলে বলো?
আমি মোবাইল নামক যন্ত্রও অনীহা নিয়ে হাতড়ে বেড়ায়,
তবে ঠিক কী করি বুঝতে পারি না।
মাঝে মাঝে এই যন্ত্র কেঁপে উঠে,
নোটিফিকেশন না কী যেন বলে?
ওইটা এলো বোধহয়।
আমি ঈগলের ন্যায় ছোবল মেরে নিমেষে যন্ত্র টা তুলে নেই হাতে,
যেন যন্ত্র নয় একটি যাদুর বক্স, কিছু একটা ঘটবে;
কী অসহ্য চাপা উত্তেজনা, যা আমার ধূলিসাৎ হতে যাওয়া আশা জাগিয়ে তুলে;
হাত কাঁপতে থাকে, আমি তড়িঘড়ি করে ফোনের লক খুলতে যায়,
এই কী আমার আঙুলের চাপ সনাক্ত করতে পারছে না এই যন্ত্র।
বেগতিক হয়ে পিন কোড ব্যবহার করি, জানি হাত আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই
মস্তিষ্ক টা আমার কিছুটা, হৃদয়টা সম্পূর্ণ তার;
আমি নোটিফিকেশন বার নিচে নামিয়ে দেখি,
সুখ বার্তা কী এলো?
বার্তা আসলো" ৫৭ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।"
অসতর্কতা বশত এক দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো, পাশ ফিরে দেখি দুইজন ব্যক্তি ফ্যালফ্যাল করে কিছুটা বিরক্ত ভরা দৃষ্টিতে আমাকে দেখছে।
আবারও স্বপ্ন বুনি যাদুর বক্স কেঁপে উঠার।
আবারও অস্তির হচ্ছে মন,
বাড়ছে তাপমাত্রা আর ঝাপসা হচ্ছে দৃষ্টি।
সামনের বই, পাশের মানুষ
সবই আস্তে আস্তে আমার দৃষ্টি সীমা অতিক্রম করতে লাগলো।