এই ঝুম বৃষ্টি কেন যেন-
এবার আর ভালোই লাগছে না।
কারণ ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে,
সেই রোমান্টিক অনুভূতিগুলীও আর আসছেনা।
একদম অনুভূতিহীন করে দেয়,
এই ঝুম বৃষ্টির শীতল ছোঁয়া।
যেন আমার স্নায়ুগুলো সব জমে আছে,
জমে জমে একদম নিথর হয়ে আছে।
প্রান্তিক স্নায়ু বৃষ্টির পরশ পেলেও,
নিউরোট্রান্সমিটার হয়ে মস্তিষ্কে যেতে পারছেনা।
আর সিন্যাপসিসগুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম,
একদম জনশূন্য প্লাটফর্মে খালি পথের মতোই।
বৃষ্টিতো অভিমান জমবে, মেঘ করবে তারপর হবে
কিন্তু বিনা অভিমানের এই বৃষ্টি বড্ড বেমানান।
বড়ই আনরোমান্টিক এই বৃষ্টি,
শুধু শুধুই বিনা অভিমানে মনের ঘরে প্লাবনের কারণ হয়।
যেন বৃষ্টি হয়ে সবকিছু ধুয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা,
ভালোবাসাটাকে ঠুনকো ভেবে এই বেহিসাবি কান্ড কারখানা।
অথচ বৃষ্টির বেগ যতো বাড়ে, সমুদ্রের পানির উচ্চতাও তত বাড়ে,
আর লবনাক্ত ঐ জলে আমার কষ্টও তত বাড়তে থাকে।
আমি শুধু ভাবি ঠিক কখন মেঘ সরে সূর্য হাসবে,
জমে যাওয়া স্নায়ুগুলো প্রাণ পাবে।
তার হাসির অনুভূতি কবে আবার,
আমার হৃদয়ে রোমান্টিকতার অনুভূতি যোগাবে।
আমি না হয় তখন নতুন করেই রোমান্টিক হবো,
তার হাসিতে ঝরা মুক্তোয় কবিতা সাজাবো।
তার ঠোঁটের ভাঁজে চুলগুলো সরিয়ে হারিয়ে যাবো,
কোন এক সূর্যাস্তে সমুদ্রের বেলাভূমে নিরন্তর।
হয়তো ঝিনুক ফোড়ে তার পা কেটে রক্ত ঝরতে পারে,
কিন্তু তবুও সে থামবেনা-
আমার হাত ধরে শুরু করা সেই যাত্রা
আজীবনের জন্য স্থির করে নিবে।
কখনো কখনো তার মনে অভিমান জমবে,
চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে থুতনিতে এসে জমা হবে।
আর ঠিক তখনই একটা রোমান্টিক ঝড় হবে,
আর হরহামেশাই আমার বুকে আছড়ে সব হারিয়ে যাবে।
সেই ঝড়ে তার চুল ভিজে পানি ঝরবে,
কপাল, নাক আর থুতনিতে এসে জমা হবে।
আর আমি সেই চুলে পানির ঢেউয়ে স্বপ্ন দেখে যাবো,
সুখের ভেলায় ভেসে ভেসে অসীমে পথ বাড়াবো।
কিন্তু তবুও অসময়ের এই আনরোমান্টিক বৃষ্টি চাইনা,
অযথাই বিনা অভিমানে বৃষ্টিপাত চাইনা।
তার অভিমানী মেঘের বৃষ্টি চাই,
সেই বৃষ্টিতে প্লাবনে ভেসে যেতে চাই বহুদূরের অজানা পথে।।