তুমি লাজুক ঠোঁটে আলপনা এঁকে,
করে চলো বিস্ময়!
আমার মনেই দিব্যি ঘটে যায়,
একি ভালোবাসা নাকি সংশয়।
বড় অদ্ভুত লাগে, বড্ড অদ্ভুত লাগে,
কখনো ভালোবাসা, কখনো বা সংশয়।
আলো আঁধারের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া,
এক জোড়া হাতছানির একি বিস্ময়!
বহু আগে থেকেই চোখের দৃশ্যপটে তুমি-
কোন এক নীলাভ শাড়িতে ছিলে।
যেন কোন এক অগ্নিশিখার মতো
এক দৃষ্টিতে দূরের গন্তব্যেই তাকিয়ে ছিলে।
কখনো ভুলের কারণেও বলিনি সেই কথা,
কারণ নিজের মাঝেই ছিলো দ্বিধার অট্টালিকা।
আর যখনই সেই অট্টালিকা ভেঙে যাচ্ছিলো,
ঠিক তখনই দ্বিধা থেকে দূরত্ব বাসা বাঁধলো আচমকা।
আমার আর বলাই হলোনা তখনো,
এরপর কিছুদিন হারিয়ে থাকা একটা ঘোরে।
ঘোর থেকে বের হয়েও আর বলা হলো না,
কারণ বলতে যেয়েও আবার সেই দ্বিধা পথ আগলে দাঁড়ালো।
হয়তো ঘোর কাটতে কাটতে দূরত্বের দেয়াল কেটেছে,
দ্বিধার দেয়ালটাও ভেঙে যাচ্ছে।
শুধু নতুন করে একটা " না " এর সঙ্কা যোগ হয়েছে,
ক্রমশ " না " এর ভয়ে নিরব হয়ে যেতে হয়েছে।
যদিও "না " মানেই অবজ্ঞা কিংবা অবহেলা নয়,
শুধুমাত্র একটি সঙ্কায় কল্পনাসক্ত হয়ে যাওয়া।
ভালোবাসা না পাওয়ারও কোন কষ্ট নয়,
কারণ ভালোবাসাটাই এখানে মূখ্য বিষয় নয়।
আচ্ছা তুমি কি এরপরও বলবে কে সে?
হ্যাঁ, আমি তোমাকেই বলছি।
এতো সবকিছু তোমাকে ঘিরেই,
এখন নিশ্চয়ই সেই সঙ্কার হয় নির্বাসন না হয় আবাসন দিবে-
চিরতরে আমার মাঝে।।