বহিরে বৃষ্টি,
মন খারাপ করা বৃষ্টি
উঠানে নৃত্য করে জল
সে এঁকেবেঁকে চলে যায় : সাপের রেখা, পাপের রেখা, সেকেলে অভিশাপ।
স্মৃতিরা সব ভিড় করে।
বন্ধ দরজায় কড়া নাড়ে
দুয়ার ভেঙ্গে ঢুকে পরে
স্মৃতিরা সব...
ভেতরটা তচনচ করে
হৃদাবেগের জোয়ারে ভাসে পদ্ম
বাহিরে নাচে কে
ভেতরে কে নাচেরে!...
তাতা-থইথই বৃষ্টির ছাটে কার
হলুদ শাড়ি সাদা পাড়?
ভেজা সবুজ লাবণ্যময় সতেজ গঞ্জিকা কী ও সে? (একদিন এ কথা সে বলেছিলো।)
কুহু রে ডাকে মন
উঁহুরে এ জানি কেমন!
মুহুর্তে ইচ্ছে হয় : ছেটে ওর দাড়ি-গোঁফ
বেঁধে ধরে আনি তাঁরে।
তাঁর ওই বন্ধ দাড়ে তেমনি কড়া নাড়ি,
সে যেমন নেড়েছিল এক চতুর্দশী বালিকারে!...
সেই বালিকা,
এখন তো সে কুড়িতে বুড়ি
হয়তো তারও দ্বি-গুণ ধাড়ি,
মন তো সেই চতুর্দশেই বাঁধা এখনো।
বৃষ্টির ছাট পেলে এখনো শরীর গলে
অষ্টাদশী যুবার দিকে যায় চতুর্দশী এ মন...
তাঁর কী কিছুই মনে পড়ে না,
তাঁর অন্তর এখন আর নড়ে না,
সেই কমল হৃদয়, এখন কি পাথর?
(আমার মন তার কাছে, তার হৃদয় আমি সাজিয়ে রেখেছি সযত্নে।)
নাচে না তাঁর বুনো দাড়ি
আমার হলুদ শাড়ি, সাদা পাড়।
এখন কার ভেজা শরীর মাদকতা ঢালে তাঁর চোখে?
অথবা তাঁরেও কড়া নেড়ে আষাঢ়ে বৃষ্টি আসে
তাঁরও অন্তর বিধ্বস্ত করে চলে যায়?
যায় যাক, না যায় না যাক, কার কী বা আসে যায়...