ময়ন্তী সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা রে,
তুই মিশে গেছিস আমার রক্তকনায়, নিশ্বাসে, আমার বিশ্বাসে;
সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা।
খোচা খোচা গোফ নিয়ে
রক্তিম চোখে যে দিন তাকিয়েছিলাম-
মনে পরে তোর, চোখে চশমা ছিল,
পাঞ্জাবিটার পকেট ভরা আবির ছিল,
রঙিন মনে স্বপ্ন আশার পসর ছিল;
তবু ছিলাম আশ্রয়হীন,
আশ্রয় খুজছিলাম!
একটু হলেও ভদ্র ঘরের তাই মুখ ফোটেনি,
তোর মনের সদা সংবাদ খোজ জোটেনি,
আশ্রয় খুজছিলাম;
তুই দিলিনা, সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা রে-
ময়ন্তী সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা
বিশ্ব জাহান সব ছাপিয়ে তোর ও ছায়া,
কেমন যেন মায়া মায়া ঐ দুটি চোখ,
আত্ব মহল হাজার কপি,
ছায়া সজ্জার খুটি নাটি
কত আয়োজন, যোজন বিয়োজন;
তোর চাহনি, শিরা ধমনী সব তোলপাড়-
প্রবলতর রক্তগতি সব ছাড়খার,
প্রকৃতির সাথে একলা কথা যথাতথা,
কেমন যেন পাগল আমি, কেবলি ছায়া সঙ্গীনি,
মিথ্যে নয় শেষ নিশ্বাসেও পাগলামি ছাড়বনা;
সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা রে-
ময়ন্তী সত্যি তোকে আর ছাড়তে পারবনা।
তোর কাছে বহুবার বহুভাবে আমি ঋণী,
মুক্ত চুলের রৌদ্র ঝলক বেণী,
হাতের কাঁকনের মন ভাঙ্গা ঘুঙুর,
ঠোটের হাসিতে বাউলা উতলা মন ভ্রমর;
তোর ঋণ শুধতে যদি মন হয়রে রং বিহীন,
আমার সকল রং বিকিয়ে, তোর ছায়াটারে করব রঙীন।
দেনাগুলো সব মিটিয়ে হয়তো সবার পাশ কাটিয়ে-
গড়ব আকাশে নীড়, তারার দেশে তারা হয়ে বাড়াব একটু ভীড়।
না হয় কেবল রইবে আমার পাওনা ঘরে বাকী,
সব তারাদের হয়না হিসেব, কিছু তারা থাকে মেঘে ঢাকি।