ছাতের সিঁড়িতে বসে;
শান্ত-এলো চুলে বাতাস লেগে;
আজ একটু আবিন্যস্ত তারা।
কিন্তু, দিশেহারা নয়-
হয়তো পালে হাওয়ালাগা মাঝ-দরিয়ার নাও সে;
কিন্তু, ঝড়ের কবলে পড়া একলা, বেচারা জাহাজের দীর্ঘশ্বাস নয়।
স্বাভাবিক ছন্দে সাড়া-জাগানো চাঞ্চল্য আনতে-
হিসেবের খাতায় বেহিসেবী সুরের হস্তাক্ষর টানতে-
মন্দ লাগেনা।
কিন্তু,আজ যে ছাতের এলোকেশী আমার;
চুলের ডগা থেকে জল টপছে টুপটাপ,
ইইইশশ্!! কাঁধের কাছে জামাটা ভিজে সপসপ করছে।
আগে এটা কোমর ভেজাত।
তাতে আফসোস হয় না?
কই নাতো-
ছিটেফোঁটাও না।
চুল কেটে হয়েছি আধুনিকা।
তাতে কি?
কিছুদিন পরই হয়তো চুল-বাড়ানোর ক্রিম মাখব মাথায়,
আর আধুনিকতার মানে বদলাবে।
সময়কে যেতে দিয়েছি বয়ে;
চোখের সামনে দিয়ে।
ঠিক খেয়াল পরেনি হয়তো;
সে গেছে চলে।
ধীর পদক্ষেপে, চুপিচুপি,
সবার চোখের সামনে থেকে;
তবু সে গেছে চলে।
কোমর ভিজিয়ে স্নান করলে;
কাঁধের দু’পাশ দুঃখ করবে?
নাকি, উল্টোটা হলে,
কোমরটা আমার;
অভিমানে বালিশ ভেজাবে?
জানি দু’জনেই, জলমাখা গায়ে;
দেওয়ালের ইঁটের মতো বাঁচবে ওরা।
জল-টপে কাঁধ ভিজে গিয়ে;
কাঁধ-টপে কোমর ভিজবেই।
সত্যিই ওরা একে-অপরের পরিপূরক।