(একসাথে পথ চলার স্বপ্ন দেখেও কেন জানিনা সে ভালবাসা মাঝপথে শুকিয়ে যায়।তোমার অকারণে শুকিয়ে যাওয়া ভালোবাসা যেন অন্যের মনে আগুন না জ্বালায়।)
আজ তুই সাথে থাকলে হয়তো,
দশ বছর তিন দিন বয়স হতো,
আমাদের সেদিনের শুরু করা ছোট্ট সংসারটার।
জানি তুই এখন,
অন্য সংসারের বয়সের হিসাব রাখিস।
তোর জন্য,
মনের ভিতর জ্বলতে থাকা এই আগুনটাকে-
আজও নিভতে দিইনি।
বরং সে আগুনে, গায়ের ঘাম শুকিয়ে,
চামড়ার উপর জমতে থাকা;
বিস্বাদ রং গুলোকে সেঁকে,
চামড়ার রং করেছি সাদা।
যেখানে, যেকোন রং হয়ে ওঠে স্পষ্টতর,
যেখানে, তুই নিজেকে দেখলে,
সে যেন; কোনো একমাত্র রঙের উপস্থিতির;
দাবি করে না।
তবু সে হলুদ রঙেই বাসা বেঁধেছি।
আপন স্পষ্টতার হাত না ছেড়ে-
একলা মনের খামখেয়ালেও
মানসিক দৃঢ়তাকে বজায় রেখে,
আজও সে, সুরের তারে হাত বুলিয়ে যায়।
জানিস না ওরে?
তুই তো আমার সে 'হলদে' পাখিটা।
এখনো তুই আমার মন-পোড়া বাতাসে;
হাতপাখা নাড়িস।
তাই কখনো আগুন যায় নিভে,
আবার কখনো জ্বলে ওঠে
নির্বাক তোকে আঁকড়ে ধরে।
তবু নিজের কথা চিরতরে ফুরানোর আগে,
তোকে পাঠানো চিঠি গুলো;
আবার পাঠিয়ে দেব একবার।
জানি তুই সেগুলো খুলবিনা,
পড়বিনা, ফিরেও দেখবিনা তাদের দিকে।
চিঁড়েও ফেলবিনা হয়তো;
ততোটা গুরুত্ব ওরা পেয়েছে কি কখনো?
পায়নি,
আমি জানি-
তবু তোর ডাক বাক্সে জমা ক'রে;
তোর অজান্তে যে আমায় কতটা সুখী করবি,
তার আঁচ যদি পেতিস-
সে সুখ দুচোখে মেখে চিরশান্তির 'ঘুম' ঘুমাবো।
তুই টেরও পাবিনা।