জানলার ফাঁক দিয়ে কি কখনো;
সমগ্র আকাশ দেখা যায়?
নাকি তার বিশালতাকে,
সংকীর্ণ গন্ডির মধ্যে মানায়?
তাই বুঝি দূরের চিৎকারকে,
কানের পাশে পেয়েও-
আমরা মনকে শুধু উদাস করি।
শারীরিক দূরত্বকে,
বজায় রেখেও-
না পারার অনুতাপে হাজার বার মরি।
নিশুতি রাত আর নিশ্চুপ দুপুরের ভিতর যেন ঠিক;
চারিত্রিক বৈসাদৃশ্যের থেকেও আছে, বেশ কিছু সাদৃশ্যের দিক।
তাদের সান্ধ্যকালীন আলাপচারীতায়,
একমুঠো বাদাম ছড়িয়ে,
হ্যালোজেন মাখা পথে পা বাড়াবে।
অস্বস্তিহীন সাবলিল মেলামেশায়,
মাথার বেনী, আলগা বাতাসে উড়িয়ে,
নিস্প্রাণ একাকীত্বকে নিমেশে হারাবে।
ঝরে পড়া পাতায় মাখা বাতাস জানে;
ক্ষানিক অক্ষমতার সাথে, আক্ষেপ মিশে আছে সেইখানে।
আরও কিছুটা সময় যদি একসাথে থাকত;
হয়তো মৃদু তৃপ্তির রং গায়ে সে মাখত।
নিজেকে এত সহজে ধূসরসম না বলে,
রঙীন দিনের ঠাট্টা-হাসির আদর জড়ানো কোলে,
বাকি পড়ে থাকা সময় সঁপে দিয়ে,
অনেকখানি প্রাপ্তির আশায় আকুল হৃদয় নিয়ে,
মিলেমিশে একাকার হত সব।
আকস্মিক সমাপ্তি যেন, অনেক প্রাপ্তিকে করে দুর্লভ।
আর সে সমাপ্তি পায়, বিস্তৃতি…….চিরবিস্তৃতি-
ওকে থামতে দিওনা।
থামলে ওর বাকি থাকা জীবনীশক্তিও স্তব্ধ হয়ে যাবে।