অতন্দ্র প্রহরী বেশে এখনও আগের মত চেয়ে থাকি চাঁদ তারার পানে!
চাঁদ তারাদের লুকোচুরি, মায়া ভরা রজনী আধো ঘুম প্রহর
কাটেনা ঘুমের ভাব চমক দিয়ে আসা স্বপনে!!
লালিত স্বপন হৃদয় বেদন যন্ত্রনারা তাড়া করে
সারাটা দিন ক্ষনে ক্ষনে রাত দুপুর!!
এখনও আগের মত চেয়ে থাকি ভাবনায় ডুবে
কানে বাজাতে তোমার রূপালী আলক নূপুর!!
নূপুরের সুর দূর বহু দূর মৃদু বাতাসের পানে
মনোনিত জানালার দ্বারে আমি!
ভেসে আসা সেই রজনীগন্ধা বকুলের সুভাষ
হুতুম পেঁচা আর ডাহুকের কলতান সয়নে গুঞ্জনে তুমি!!
তুমি হীনাআমি, ভাঙা কলসে পানি চার্জবিহীন আলোক বাতি
নি:শ্বাস বিহীন দেহ! বোঝানোর ভাষা
হারিয়ে আজ উম্মাদ ব্যথাতুর হৃদয় বুঝেনা কেহ!
করুন চিৎকার বারে বার অপঘাত মৃত্যু দুয়ারে
হৃদয় বিধুর কথামালা হেমলক মাখা যাতনা শিয়রে!!
কোন এক যুবকের ব্যাথিত ভাবনা অতলে ডুবে
না পেয়ে ব্যথা ফোটেছে প্রেম ফুল কবে!!
কেউ না বুঝক, কেউ জানুক না জানুক জানো-তো তুমি
মানো কি না মানো পরোয়া করিনা আজ আমি!
ক্রোধের কেন্দ্রস্থল ভেদ ভয় ডরহীন এক অগ্নি মানব
মানবের মায়া আজ ক্ষিপ্ত ছায়া!
না পাওয়া ভালোবাসায় হিংস্র এক দানব!!
দানব রূপে মানব মুখে মানব শরীর পুরো সত্তা
না হারায় সেই কমল দেহের অভাগী আত্মা!!
জমানো সেই মধু মাখা মন মানবীর কথা!!
কেমন করে যাবে ভুলে!
ও মানবী!ও সোহাগী!ও রূপসী!ও প্রেয়সী!
আমার জন্য ভালোবাসা গচ্ছিত যা
আছে কি, আছে কি যথা-তথা!
সময় ভোর:- ০৪:৪২