হাত বাড়ালেই এখন গোরের স্পর্শ পাই
তারপরও মুখ ফিরিয়ে মত্ত হয়ে থাকি-
এইসব পানশালার রঙ্গলীলায়।
ক্ষণিকের মোহে, কিছুক্ষণের শোভনীয় সুখে
জেনেও ভুলে আছি কিংবা না জানার ভান করি
সামনে থেকে ডাকছে মহাকালের সাক্ষী।
এখন জোরে নিঃশ্বাস নিতেই-
গোরস্থানের গন্ধ পাই। আমি গন্ধমৃগের সন্ধানী
মৃগের সন্ধানে কাঙাল হয়ে
বর্জ্যের স্তূপে ব্যস্ত ভীষণ, দুর্গন্ধে বিলাসিত মন
চারপাশ সুরভিত আস্তাকুঁড়ের সৌরভে।
চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই কবরের বিছানা
মৃত্তিকাবিলাস প্রাণ যখন মাটিকে করে অবজ্ঞা
দম্ভ হয়ে ঊর্ধ্বে ওঠার অনিমেষ এক লড়াইয়ে
বারবার হেরে গিয়ে, মাটিকে ছাড়তে চাই
অথচ কত না আপন হয়ে হাতছানি দিচ্ছে
এই মাটির ভালোবাসা, মহাকালের পথে!
এখন কান খাড়া করলেই শুনতে পাই-
কবরের গর্জন, যেন বিকট চিৎকারে আমায় ডাকে
আমি উপেক্ষা করে পাশ ফিরে ঘুরে যাই
না শোনার ভান করে রঙ্গশালায় ডুবে যাই
পান্থপথে রঙ্গ করে চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়াই
ভঙ্গ করি শাশ্বত ধারা, সামনের পথচলা
অথচ আমি মহাকালের একজন যাত্রী মাত্র।