সুক্ষ্ম ভাবনার দৃশ্যায়ন, যেমন সকালে নীল দিগন্ত আলোর জ্যোৎস্না বিস্তৃত হয়ে সূর্য উঠে,
নির্মল ছন্দ তুলে শিশির ভেজা সমীরে ছেয়ে যায় সবকিছু!
তুমি দেখেছো, কখনো?
সিসা নেই, নেই ধূলিকণার প্রলেপ, ঘুঘু চড়ে, ডাহুক ডাকে, সুরের কলতানে নৈসর্গিক সুখানুভূতির দোলা দেয় মনে,
খুঁজে দেখেছো, কখনো?
পথে-ঘাটে, মাঠে - বনে শালিক বাবুই-এর উৎপাতে দোয়েল, শ্যামা লজ্জা পায়...!
তুমি দেখেছো, কখনো?
মরুভূমির বুকে ঝরনার অবগাহনে শীতল অতল, নিত্যদিনের কালচার,
তুমি দেখেছো, কখনো?
ছলে কলে দলে মলে পিষ্ট এক ঝাঁক কবুতর, নীড়হারা
আশ্রয় নেয় অলি-গলির ফাঁক - ফোঁকরে,
তুমি দেখেছো, কখনো?
আঁধার নিশির ক্ষণগুলো সুবাসিত নাকি কষ্ট গাঁথা এক একটা উপন্যাস,
তুমি দেখেছো, কখনো?
এমন অনেক কিছুই আছে, আমার - তোমার সানিগ্ধ্যে, চোখের জল মুছে ফিরে চলি, আপনার ভাবনায় ;জংলা নদীর তীরে বসে, ভাবালুতায় আচ্ছন্ন থাকি, কেনো...!
তুমি দেখেছো, কখনো?
না, দেখোনি...!
কত সত্য, সুপ্ত থাকে ; না বলার রাজ্যে, অন্ধকারে কোরাস শুনি, তাও কি বলি...!
না, বলি না!
যে পথে চলার, চলি না!
যা, কিছু করার, করি না!
অন্ধ বধির সময়ের যাতনা মাঝে মাঝে খোঁচা দেয়,
নির্মম আঘাতে জখম করে, ভোঁতা চেতনায়!!
তবুও হয় না বলা, এ বড় কষ্টের, আগুনের গোলা দাউ দাউ করে জ্বলে, নিরন্তর!