কান্নার রঙটা কেমন,   সবুজ-নীল, নাকি লাল রক্ত মল্লিকা, বর্ণিল ?
হৃদি কলতানের ছন্দময়তায় পতনের সুর তোলে, কিন্তু বুঝি  পার্থক্য কি?
সকল অনুভূতির নির্যাস যদি কান্নার সমুদ্র হয়, তাতেও কি সংজ্ঞায়িত রূপ দেয়া যাবে?

নাকি কান্না -  মানে হাহাকারের প্রতিচ্ছবি?
কী তবে , আমার জানা নেই!

শুধু জানি অনুভবে... কাঁদতে নাকি সবাই পারে না , আমিও পারিনি কখনো, শেয়াল যেভাবে কাঁদে গলা ফাটিয়ে , ঠিক সেভাবেই আজ কাঁদলাম বহুবছর পরে... অঝোরে!

নিস্তব্ধ নির্জনে অবিশ্বাস মনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে!
এমনও সত্য হয়, রক্তঝরা ঘামে - শ্রমে তিলে তিলে শান্তি - সুখ বিসর্জন দিয়ে যে পাখিদের, অভয়ারণ্য উপায়ন দিলাম ;পরিচর্যার ত্রুটি রাখেনি, সুবাসিত বর্ণিল ছন্দের ঘ্রাণে প্রহর দিয়েছি, সুখনিদ্রার ঠাঁই দিয়েছি, শূন্য হয়ে - - -!

দেখি চেয়ে, অজগরের ফনা তুলে ছোবল মারে, অক্টোপাসের মত জড়িয়ে নিশ্বাস বন্ধ করতে চায়!

যে দেহে, রক্তনালীতে একের পর এক বাঁধ, শ্বাসের পুকুর হাঁজামাজা, শ্বেতকণিকাও স্বল্পতার আবীরে হিমোগ্লোবিন শূন্য, এমনিতেই ওপারের যাত্রী, এমন এক সত্বার ওপরও চলে অহোনিশি নির্মম নির্যাতন!... কীভাবে?

লাইভসাপোর্টে থাকা এক অর্বাচীনকে নিয়ে - লুডু খেলে, দাবা খেলে, শেষ ধনুক দিয়ে ক্ষত - বিক্ষত করে, জীবন্মৃত রেখে!

এ কোন তামাশা, আমি উত্তর পাইনি, উত্তর খুঁজে ক্লান্ত হয়ে বেলকণির ধারে ঘন অমানিশায় হিসেব মিলাই একাকী!

কই, কর্মক্ষেত্রে তো কোন গড়মিল নেই - এটা সত্য, ভবে জীবনালক্ষ্যে এ কোন শনির শিরোনাম?

এ কোন প্রতিদান; নির্বোধ , যে হায়নার স্বরূপে সুঁচালো দন্ত দিয়ে মাংস চিবিয়ে খায়!!!

কে আপন, আপন কে?? রক্ত?... আমি নির্বাক - হতভম্ব সময়ের বিবর্তনে!!

হে বিধাতা, তুমি মহান!
ক্ষমা করো, ওদের, সব সইবো - - - নীরবে সন্মানে আমায় নিও, প্রার্থনা!!

আমি তো চাইনি কিছু, জীবন সত্য, মিথ্যার রোজনামচা! খানিক রহস্যের চাদরে ঢাকা
!