কী অদ্ভুত সময়ের বিবর্তন -
হিজল বনে চলে বাবুই-শালিকের উৎপাত,
সবুজ ধূসর রঙের সাজেই, নিলামে উঠে নিত্যদিন!
অথচ ভেবে দেখো, টলমলে জলে বৈঠা বেয়ে তরী নিয়ে যেতো মাঝি, কন্ঠে ভাটিয়ালি সুর!
নদীর বুকে স্রোত ছিল, ঢেউয়ে ঢেউয়ে তাল ছিল...
মাতাল হতো প্রহরের ক্ষণগুলো, বিশুদ্ধতায় ।
অরণ্যে হিজল আছে, কদম আছে, আছে বাহারি নামের শিউলি - চামেলী, রজনীগন্ধা!
ঘর্ষণে, মর্দনে ক্ষত-বিক্ষত দেখি, সময়ের ফেরে...
ঝরে গেছে মধুরেণু, পাপড়ি - পাতা ; সুবাসে দুর্গন্ধ!!
কাশবনের স্নিগ্ধ উষ্ণ নৈসর্গিক প্রকৃতির মাধুর্যের যে শোভা,
তা যদি লুপ্ত হবে, তবে প্রকৃতিপ্রেমি শ্যামা - ঘুঘু,
নিরাশ হবে, আচ্ছন্ন রবে হতাশায়! কাক, বানর, কুকুর - শুয়োরের উৎপাত আর হায়নার বিচরণে, 'সত্য', মুছে।
কবে উঠবে নীল দিগন্তে রক্তিম লাল সূর্য!
যার প্রভায়, আঁধার ঘুচবে, সজীবতা ফিরে আসবে, অরণ্যের তেপান্তর! অঝোরে নির্ঝর আসুক, ধূসরের বুকে!
মৃত্তিকা ভরে উঠূক চিরায়ত সৌন্দর্যের আবীরে...
আমি পথ চেয়ে বসে আছি, শুভ্র - সবুজাভ ধরিত্রীর পানে!