রায়হান ..... তার ঘরে ঢুকে চেয়ে চেয়ে তার খাট'টাকে দেখছে —
এ যেনো বাংলাদেশ টেলিভিশন —
খবর বোলছে — ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে
এক তোরুণের মৃত্যু!

কী নৃশংস ভাবে মারা গ্যাছে ছেলেটা আহা...
টুকরো টুকরো হয়ে মাংসগুলো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্যাছে.....মাছি উড়ছে।

বালকের মৃত্যুর কারণ — জানা গ্যাছে....
তার একটা প্রেম ছিলো
খুব কঠিন প্রেম —
অনেক দিনের ভালোবাসা।

যা একসময় এসে দাঁড়ালো
বিধ্বস্ত ভগ্নস্তূপের ন্যায়।

প্রেমিকার বিয়ে জরুরি — পরিবারের
নির্দেশানুসারে তার বিয়ের ৫ বছর দেরি।

এখন
কোনোটাই ছাড়তে পারছে না সে
অবশেষে ভেবে চিন্তে
কিছু খুঁজে না পেয়েই — এই আত্মহত্যা বলে
জানাচ্ছেন সাংবাদিক।

কিছু দূর থেকে কেউ একজন হাতে কোরে
নিয়ে আসছে মুন্ডুটা.....
মুন্ডুটা অক্ষত গলা থেকে ছিঁড়ে গিয়েছে।

চেহারা'টা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে......
যেনো তীব্র অভিমানে আছেন মুন্ডুসাহেব।
আর কোনো কথা বোলবে না
কারো সাথেই না।।
কিন্তু এটা কে?
একি – আশ্চর্য ব্যাপার এতো রায়হান!

রায়হান মারা গ্যাছে....
রায়হান মারা গ্যাছে.....
নিজের মৃত্যুর
সংবাদ শুনছে সে!!!

একটু পর হয়তো সবাই খবর জেনে যাবে!
হয়তো তার প্রেমিকা ছুটে আসবে
বোলতে..বোলতে
আমি তোমাকে ছাড়া
বাঁচবো না! ... রায়হান প্লীজ ফিরে এসো..
অথচ সে দিব্যি বেঁচে আছে!!

কেউ হয়তো এবার বোলবে
মা'রে মৃত্যু সবারই হবে
হয়তো তার মৃত্যু এখানেই ... কাঁদিস না মা।

হয়তো,
প্রেমিকা কেঁদে ফিরে আসবে।
হয়তো এমনি হবে
নয়তো বা অন্যকিছু ..... বুঝেছেন
রায়হান?
[ দৈব ভাবে তার মস্তিষ্ক তাকেই বোলছে]

একটু নড়ুন আপনার সামনে খাট...

এখানে
রেলপথ নেই— কোনো ট্রেন আসেনি।
আপনি বেঁচে আছেন রায়হান —
এখন আপনি ভাবুন....

প্রেমিকার বিয়ে জরুরি — ফ্যামিলির নির্দেশানুসারে আপনার বিয়ের
৫ বছর দেরি।