রক্তে রাঙিয়ে দিলে ২১শে ফেব্রুয়ারী ,
কয়েকটা গুলির আওয়াজ-
স্তব্ধ হ'ল চারদিক ।
লুটিয়ে পড়ল ওরা ।
সালাম , বরকত , জব্বর , রফিক , শফিক
তোমাদের রক্ত-স্রোতে যে গান রচনা হ'ল-
সে আমার মায়ের ভাষা ।
ভালোবাসা সাজানো বর্ণমালা আমার ।
আবারো একটা দিন ১৯শে মে ,
সেদিন ষোড়শী মেয়েটার মাথা ভেদ করল চক্রান্তের বড়ি ।
মুহুর্তে লুটিয়ে পড়া কমলার ভাষা নিস্তেজ হ'ল
আকাশ , বাতাস নীরবতা উৎযাপন করে ।
কমলার কপালে 'দুষ্কৃতি' আখ্যা ।
কমলাদের ইতিহাস আজও বোবা থাকে ।
আজ বাংলা আমার বাংলা তোমারও
ভাষার মাঝে কাঁটাতার ,
অতন্দ্র প্রহরী সীমান্তে সীমান্তে ,
এত বাধা , এত বিঘ্ন 'এক বাংলা' নির্বিকার ।
আমার ভাইয়ের-বোনের রক্তে রাঙানো বাংলা হোক্ এক ,
তবুও তো প্রশ্ন থাকে বন্ধু -
এক বাংলা কেন দু'ভাগ ?
ভালোবেসে রক্ত দিলে তবু ভাষা দিলে না যে -
মায়ের কপালে পরালে জয়টীকা ,
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারী আর সেই ১৯শে মে ।