শরীরটা ভেঙে গেছে
সঙ্গমে সঙ্গমে ।
একসময় একশো পুরুষ চোখের খিদে ছিলাম ,
তখন আমার মসৃণ দেহে -
সূর্য হাসতো  ,
চোখে যেন বীরঙ্গনার কাহিণী  
গোলাপ স্পর্শের কত ইচ্ছে ছিল ওদের ,
কাঁটার ভয়ে এগোত না ।

যৌবনে যে ফুল ফুটেছিল
সে ফুল এখন ভ্রমরের সাথে খেলা করে ।

অহংকার নিয়ে যে নদী বয়ে যেত...
সে নদীর কোলাহল এখন শুধুই বাবুদের সাথে ।



মনে আছে ঐ পাঞ্জাবী বাবুটা !
উপহার দিয়েছিল আমায়-
দশ মাস দশ দিন গচ্ছিত রেখেছি সময়ের জঠরে ।

শরীর ভেঙে নতুন সূর্যোদয় হ'ল
তিন দিনের মাথায় অস্ত গেল
কুমারী মায়ের কোলে ।

তবু চোখ দিয়ে জল গড়াল না ,
রক্তের ফোটা পড়ল মাটিতে ,

বাবুরা আসে আর শরীরের চুম্বনে জন্ম দিয়ে যায়...
কত ফুলের ।
হয়তো কেউ ফোটে কিম্বা ঝরে পড়ে
এমনই কোনো অন্ধকার গলিতে  বেজম্মা হয়ে ।